346661

দেশে করোনায় আরও ১৯ জনের প্রাণহানি

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ১২৭ জনে। বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এ সময়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫২৪ জনের। তাদের মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৩৩ জন। এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার ৩৫৩ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, নতুন করে এক হাজার ৭১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে মোট সেরে ওঠা কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৪৩ হাজার ১৩১ জন।

এদিকে বৈশ্বিক মহামারী করোনায় ইউরোপজুড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, নতুন টিকা আসার সম্ভাবনা থাকলেও শীত যতো ঘনিয়ে আসছে, অঞ্চলটিতে সংক্রমণ ও প্রাণহানি ততো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ ইউরোপে হলেও করোনায় প্রাণহানির এক চতুর্থাংশই সেখানে হয়েছে। যদিও অঞ্চলটির সুসজ্জিত হাসপাতালগুলোও রোগীর বোঝা বহনে হাসফাঁস করছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে মূলত দেশটিতে টিকার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিই জোরদার হচ্ছে।

বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিতে যেভাবে করোনা প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে, তাতে করোনার বিভৎসতা থেকে মুক্তি পেতে একমাত্র টিকাই স্বস্তি আনতে পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এ মহামারীতে একদিনে এক হাজার ৫৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন একসময় এ খবর আসছে, যখন ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের খবর আসছে।

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছু কিছু শিল্পে ব্যাপকভাবে আঘাত হেনেছে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার এক ধরনের আসারও জোগান দিয়েছিল।

এ ছাড়া বিশ্বের অন্যতম বড় ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও তার জার্মান অংশীদার বিয়নটেক সোমবার তাদের টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকর দেখানোর পর মানুষের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।

প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বন্ধে একমাত্র টিকাই সবচেয়ে বড় সুযোগ এনে দিতে পারে। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মহামারীর রূপ নেয়। এর পর মানুষের চলাচলে মারাত্মক লকডাউন ও বিধিনিষেধ আরোপ করে বিভিন্ন দেশ।

ফাইজার ও বিয়নটেক জানিয়েছে, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে অন্তত পাঁচ কোটি টিকা সরবরাহ করতে পারবে তারা। পরের বছর সেই সংখ্যা দাঁড়াবেই ১৩০ কোটিতে।

এ খবরের পর বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যদিও এটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলমান রয়েছে। আর বিশাল সরবরাহ চেইন তৈরি করতে টিকা প্রার্থীদের বিশেষায়িত ডিপ ফ্রিজে তা মজুদ করে রাখতে হবে।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা এখন পর্যন্ত বিশ্বের পাঁচ কোটি ১০ লাখ মানুষকে আক্রান্ত করেছে। আর ১২ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে।

মঙ্গলবার বিশ্বজুড়ে ছয় হাজার ৮৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্রান্স, স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটির বেশি আক্রান্ত ও দুই লাখ ৪০ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত