346499

আর্মেনিয়ার সময় ফুরিয়ে এসেছে : আজারবাইজান প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহ্যাম আলিয়েফ বলেছেন, তার বাহিনী নাগর্নো-কারাবাখের যুদ্ধে জয়ী হতে চলেছে। তিনি বলেন, “এই যুদ্ধে আপসের সুযোগও ক্রমশ কমে আসছে।” প্রায় দেড় মাস আগে বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলটি নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুটো দেশের মধ্যে এর আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। সমঝোতার মাধ্যমে ছয় বছর ধরে চলা যুদ্ধ ১৯৯৪ সালে থেমে গেলেও তাদের মধ্যে কখনও শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকাটি আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃত হলেও, আর্মেনিয়ার সরকারের সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয়রা এটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে বলেছেন, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকল পাশিনিয়ানের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার কোন সম্ভাবনা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। এই সাক্ষাত্‍কারের পরেই তিনি ঘোষণা করেন যে তার দেশের বাহিনী নাগর্নো-কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শুষা দখল করে নিয়েছে।

কিন্তু এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আর্মেনিয়ার সরকার বলছে সেখানে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। এই শহরটি আর্মেনীয়দের কাছে শুষি নামে পরিচিত। বিবিসির একজন সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, নাগর্নো-কারাবাখের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি দখল করে নিলে সেটা হবে এই যুদ্ধে আজারবাইজানের জন্য বড় ধরনের বিজয়।

নাগর্নো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টের কাছে পাহাড়ের ওপর গড়ে উঠেছে শুষা শহর। এর ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া সড়ক যুক্ত হয়েছে আর্মেনিয়ার সঙ্গে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই শহরের দখল নিতে পারলে এখান থেকে রাজধানী স্টেপানাকার্টে হামলা চালানো আরও সহজ হবে।

এই শুষা শহর দখল করে নেওয়ার ঘটনাকে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন এলাকাটি “স্বাধীন করা” হিসেবে। তিনি বলেছেন, “বিশ্বে এমন কোন শক্তি নেই, যা আমাদের থামাতে পারবে।” শুষা দখল করে নেওয়ার দাবি জানানোর আগে আলিয়েফ বিবিসিকে বলেছেন, “আর্মেনিয়ার সময় ফুরিয়ে এসেছে।”

তিনি বলেন, শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তারা পুনরায় এসব এলাকা ফিরে পাচ্ছেন, আর এ কারণে আপসের মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের সুযোগ কমে আসছে। প্রেসিডেন্ট আলিয়েফের এই ঘোষণার পরপরই আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর রাস্তায় লোকজন উল্লাস প্রকাশ করে।

তবে শুষা শহর হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার খবর অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আর্টস্রান হুভানিসায়ান ফেসবুকে লিখেছেন, “শুষি শহরের যুদ্ধ এখনও চলছে। অপেক্ষা করুন এবং আমাদের বাহিনীর ওপর বিশ্বাস রাখুন।”

ad

পাঠকের মতামত