346378

হোয়াইট হাউসের ‘হোস্ট’ হয়েও শিক্ষকতা ছাড়ছেন না জিল বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পূর্ণকালীন পেশাজীবী নারী হিসেবে প্রথম ফার্স্ট লেডি হতে যাচ্ছেন ড. জিল বাইডেন (৬৯)। ফার্স্ট লেডি হলেও শিক্ষকতা ছাড়বেন না দুটি মাস্টার্স ও পিএইচডির অধিকারী এই জিল বাইডেন।

ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ক্যাথরিন জিলসন বলেন, অনেক মার্কিন নারীই নিজেদের কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলান। কিন্তু ফার্স্ট লেডিরা এটি করতে পারেন না। কিন্তু এখন সেই সময় এসেছে যে, আমেরিকানরা অভ্যস্ত হবেন ফার্স্ট লেডি ২৪ ঘণ্টা হোয়াইট হাউসে থাকবেন না।

দীর্ঘদিন ধরে জিল যুক্ত রয়েছেন সমাজসেবামূলক নানা কাজের সঙ্গে। ফার্স্ট লেডি হওয়ার পরেও তার জীবনযাত্রা যে বিশেষ পাল্টাবে না, তা আগেভাগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন জিল বাইডেন। যেমন পরিবর্তন আসেনি ৮ বছর আমেরিকার সেকেন্ড লেডি থাকার সময়েও। ওয়াকিবহাল শিবিরের মতে, ২০০ বছরেরও বেশি আমেরিকার ইতিহাসে এমন নজির বিরল, যেখানে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি পারিশ্রমিক নিয়ে অন্য কাজও করবেন কোনও ফার্স্ট লেডি।

পদাধিকারী হিসেবে আমেরিকার ফার্স্ট লেডি হোয়াইট হাউসের ‘হোস্ট’। নিজস্ব অফিসের পাশাপাশি তার অধীনে থাকেন চিফ অব স্টাফ, প্রেস সেক্রেটারি, হোয়াইট হাউস সোশ্যাল সেক্রেটারি, চিফ ফ্লোরাল ডিজাইনার এবং তাদের অধীনস্ত কর্মীরা। রাজনৈতিক ছাড়া সামাজিক ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজনের দায়িত্বভার থাকে তার ওপর। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিদেশ সফরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গী হন ফার্স্ট লেডি। মেলানিয়া ট্রাম্প বা মিশেল ওবামারা সে ভাবেই ভারত সফরে এসেছিলেন।

২০০৮-১৬ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে জো বাইডেন ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। জিল বাইডেন স্বাভাবিকভাবেই ছিলেন সেকেন্ড লেডি। সেই সময়েও তিনি কলেজের শিক্ষকতা ও সমাজসেবামূলক কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। কয়েক দশক ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত জিল। বাইডেন যে দিন মনোনয়ন নেন, সেদিন কলেজ থেকেই অনলাইনে বিবৃতি দেন তিনি। এ বছরের আগস্টেই তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি অনেক অভিবাসী এবং শরণার্থীকে পড়াই। তাদের পড়াতে, তাদের সঙ্গে মিশতে আমি ভালোবাসি। আমরা হোয়াইট হাউসে গেলেও কাজ ছাড়ছি না।’

অন্যদিকে স্ত্রী সম্পর্কে বাইডেন একটি সভায় বলেন, ‘আপনাদের সেই প্রিয় শিক্ষকটির কথা ভাবুন, যিনি নিজেকে বিশ্বাস করার পাশাপাশি আপনাদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করেছিলেন। জিল বাইডেন তেমনই এক ফার্স্টলেডি হবেন।’ জিল অবশ্য নিজেকে ফার্স্ট লেডি বা সেকেন্ড লেডির চেয়েও বেশি পছন্দ ও গর্ব করেন নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেই।

ad

পাঠকের মতামত