345989

নিজ দলের লোকজনকে সন্দেহ করছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল এখনো আসেনি। কার্যত ২১৪ ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে জয়ের আশায় ঝুলছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার আগে অতি উত্তেজনায় জয়ের ঘোষণা দিয়ে দেন। হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে প্রথা ভেঙে করেন বিয়ার পার্টি। কিন্তু সময় যত পার হয়ে যাচ্ছে, ট্রাম্পের চওড়া হাসি মিইয়ে যাচ্ছে। ক্ষুব্ধ হয়ে তাই এবার নিজ দলের সিনেটরদের উপর চড়াও হতে শুরু করেছেন তিনি।

বিতর্ক জন্ম দেওয়ার মতো কিছু টুইট, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি- দিয়ে যে সুর তুলেছিলেন ট্রাম্প, তাও থেমে যেতে শুরু করেছে। ‘নিজেদের’ রাজ্যগুলোতে ডেমোক্র্যাটের সঙ্গে ভোটের ব্যবধান কমাতে শুরু করলে সিনেটরদের ফোন করতে শুরু করেন ট্রাম্প। তাদের উপর বিরক্তি ও সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ভোট গণনার দিন রিপাবলিকান গভর্নরদের ফোন করে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ট্রাম্প। তাদের উপর বিরক্তি ও সন্দেহ প্রকাশ করছেন তিনি। এমনকি আগে থেকে ঠিক করে রাখা আইনি কৌশলের ওপরও তিনি আস্থা হারাচ্ছেন। অ্যারিজোনার গভর্নর ডগ ডসি, জর্জিয়ার ব্রায়ান কেম্প, ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্টিসকে ফোন করে রাগ ঝেড়েছেন।

এদিকে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা দেওয়ার পরপরই নিজ দেশের গণমাধ্যম ফক্স নিউজের উপর খেপে যান ট্রাম্প। অ্যারিজোনায় ভোট গণনা চলাকালে তিনি সেটি থামানোর জন্য মামলা করার নির্দেশ দেন। রিপাবলিকানরা গতকাল বুধবার সারাদিন আইনি কৌশলে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এ কারণে আরও রেগেছেন ট্রাম্প। সহযোগীদের ফোন করে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।

পরাজয় বরণ করতে হবে কিনা- এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ট্রাম্প শিবিরে। সুইং স্টেট উইসকনসিনের ভোট পুনরায় গণনার আবেদন করার কথা জানিয়েছে তারা। মিশিগানেও ভোট পুনরায় গণনা করার আবেদন করা বলে বলে জানায় ট্রাম্পের সহযোগীরা। কিন্তু মিশিগানের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা জোসলিন বেনসন ট্রাম্পের এ কাজকে ছেলেমানুষি বলে মন্তব্য করেছেন।

পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়াতে ভোট গণনা বন্ধের দাবিতে মামলা করেছে রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা শিবির। অবশ্য এটা আগে থেকেই ধারণা করা যাচ্ছিল, কারণ, ট্রাম্প শুরু থেকেই মামলা করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

গতকাল সারাদিন ট্রাম্প যে টুইট করেন, তার মধ্যে ছয়টিতে সতর্কতামূলক লেবেল জুড়ে দিয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ।

ad

পাঠকের মতামত