345038

মোংলায় নিলামে বিলাশবহুল গাড়ি কেনার সুযোগ

মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে খালাস না করায় নিলামে উঠছে মোংলা বন্দরে পড়ে থাকা ৯২টি রিকন্ডিশন বিলাশবহুল গাড়ি। এ নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১১৫টি দরপত্র বিক্রি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) এ দরপত্র জমা ও বুধবার(২৮ অক্টোবর) বেলা ১টায় দরপত্র খুলে খুলনা-মোংলা কাস্টমস হাউসে এসব গাড়ি নিলামে তোলা হবে।

মোংলা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. মেহেবুব হক এ কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমদানিকারকরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে খালাস না করায় দীর্ঘদিন মোংলা বন্দরের শেডে প্রায় ৯৬১টি গাড়ি পড়ে ছিল। গত মার্চ থেকে করোনা মহামারি প্রকট আকার ধারণ করায় নিলাম প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়। এ অবস্থায় করোনার পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় দীর্ঘ ৭ মাস পর গাড়িগুলো পুনরায় নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, চলতি মাসের শুরুর দিকে (৮ অক্টোবর) দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গাড়ি নিলামের (সিডিউল) দরপত্র ও ক্যাটালক বিক্রি করা চলে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। সবকিছু ঠিকঠাক রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি ও কাস্টমস আইন মেনে মঙ্গলবার সিডিউল জমা নেয়া শেষ হয়।

বুধবার এসব গাড়ি নিলামে তোলা হবে। তবে নিলামে ওঠা ৯২টি গাড়ির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে চাননি বলে কাস্টমস এ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, মোংলা বন্দরে প্রায় ৫০টিরও বেশি আমদানিকারক কোম্পানির কয়েক হাজার গাড়ি রয়েছে। এখান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ, আমদানিকৃত গাড়ি সময় মতো না নেয়া ও শুল্ক জটিলতার অনেক গাড়ি এখানে রয়ে গেছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল জানান, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমদানিকারকরা মোংলা বন্দর দিয়ে কয়েক হাজার গাড়ি আমদানি করেছেন। এর মধ্যে ১হাজার ৪৩৮টি গাড়ি সময়মতো খালাস করতে না পারায় নিয়মানুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ কাষ্টমস কর্তৃপক্ষকে নিলামে তোলা বা দ্রুত খালাস করার জন্য সুপারিশ করে। এ সকল গাড়ি ছাড়াও ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘদিন যাবত ৯৬১টি গাড়ি বন্দরে পড়ে আছে।

বহুদিন নিলাম না হওয়ার ফলে আমদানিকৃত গাড়ি সংরক্ষণের জায়গার সংকট সৃষ্টি হয়েছে-এ কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, মূলত আমদানিকারকরা তাদের গাড়ি এ বন্দর থেকে না নেয়া ও শুল্ক জটিলতা দূর করাই হচ্ছে মূল কারণ। এছাড়াও সরকারের রাজস্ব আদায় করার জন্যই হচ্ছে এ গাড়িগুলো নিলামের প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে।

এসব গাড়ির মধ্যে টয়োটা, নিশান, নোয়া, এক্সজিও, প্রোবক্স, প্রিমিও, লেক্রাস, পাজেরো, পিকআপ, ডামট্রাক, এলিয়ান ও মার্সিডিসসহ বিলাশবহুল দামি গাড়ি রয়েছে। কাস্টমস আইন মেনেই এসব গাড়ি নিলামে উঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, কর ফাঁকি দিতেই এতদিন পেরিয়ে গেলেও এগুলো খালাস করেননি আমদানিকারকরা। আর এখন কৌশলে নামে বেনামে তারাই নিলামের কিনে নিবে এসকল বিলাশবহুল দামি গাড়িগুলো।

ad

পাঠকের মতামত