344950

রিফাত হ’ত্যা: অ’প্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ আ’সামির রায় পড়া শুরু

বরগুনার বহুল আ’লোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হ’ত্যা মাম’লার অ’প্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ আ’সামির রায় পড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে বরগুনা জেলা শিশু আ’দালতে এই রায় পড়া শুরু করেন বি’চারক মো. হাফিজুর রহমান।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারাগার থেকে এই মা’মলার অ’প্রাপ্তবয়স্ক ৬ আ’সামিকে আ’দালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা ৮ আ’সামিও আ’দালতে উপস্থিত রয়েছে। এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে আ’দালত পাড়ায় কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে পুলিশ। বরগুনার সবার নজর এখন আ’দালতের দিকে।

এর আগে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আ’সামিকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দিয়েছেন। যাদের রায় ঘোষণা হবে তারা হল রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজি (১৭+), রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫+), আবু আবদুল্লাহ রায়হান (১৬+), অলিউল্লাহ অলি (১৬+), জয় চন্দ্র সরকার চন্দন (১৭+), মো. নাঈম (১৭+), তানভির হোসেন (১৫+), নাজমুল হাসান (১৪+), রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫+), সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিবুল্লাহ (১৭+), মারুফ মল্লিক (১৭+), প্রিন্স মোল্লা (১৫+), রাতুল সিকদার জয় (১৪+) ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ (১৬+)।

জানা যায়, গত বছর ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে নয়ন ব’ন্ড ও তার সহযোগীরা রিফাত শরীফকে ধা’রালো চা’পাতি দিয়ে কু’পিয়ে হ’ত্যা করে। রিফাত শ’রীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ২৭ জুন বরগুনা থানায় নয়ন ব’ন্ডকে প্রধান আ’সামি করে ১২ জনের বি’রুদ্ধে হ’ত্যা মা’মলা করেন। ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ব’ন্দুকযু’দ্ধে নয়ন ব’ন্ড নি’হত হয়।

পরে ওই বাদী ৬ জুলাই বরগুনা থানায় আরও একটি আবেদন করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক হুমায়ূন কবির গত বছর ১ সেপ্টেম্বর দুটি ভাগে ২৪ আ’সামির বি’রুদ্ধে বরগুনা সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মো. সিরাজুল ইসলামের আ’দালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এর মধ্যে অ’প্রাপ্ত বয়’স্ক ১৪ আ’সামির বি’রুদ্ধে শিশু আ’দালতে ৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক শুরু করেন। আ’সামিপক্ষ ১২ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষ করেন। এরপর আবার রাষ্ট্রপক্ষ ১৪ অক্টোবর যুক্তি খণ্ডন করেন। ওই তারিখে বি’চারক ২৭ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রিফাত হ’ত্যা মা’মলায় ৭৬ জন সাক্ষী তালিকাভুক্ত হলেও অপ্রা’প্ত বয়স্ক ১৪ আ’সামির বিরু’দ্ধে এ পর্যন্ত ৭৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে আ’দালতে ১৫ জন দেখা সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেট সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমরা আশা করি, আ’সামিদের স’র্বোচ্চ শা’স্তি হবে। আ’সামি পক্ষের আইনজীবী মো. শাহজাহান বলেন, আমি চারজন আ’সামির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছি। আমার আ’সামিরা হ’ত্যাকা’ণ্ডের সঙ্গে জ’ড়িত ছিল না। আমরা আ’দালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমি আশা করি, আ’সামিরা নি’র্দোষ প্রমাণিত হবে। রায়ে আ’সামিদের সা’জা হলে আমরা উচ্চ আ’দালতে আপিল করব।

ad

পাঠকের মতামত