344500

তাপমাত্রা কমায় ইউরোপে করোনার হানা

একদিনে ১১ হাজারের ওপর সংক্রমণ সে সঙ্গে ৪০ জনের মৃত্যু জার্মানিকে স্মরণ করে দিচ্ছে প্রথম দিকের করোনার সংক্রমণকে। অব্যাহত সংক্রমণের কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোকেও ঘোষণা করা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে।

এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো বিষয়। চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রাণঘাতী করোনার ভয়াবহ সংকট ও পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জার্মানির যে মন্ত্রীর ওপর গণমানুষের আস্থ ছিল সবচেয়ে বেশি সে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পহনও করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। অথচ করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়েই রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ মানুষটিরই দরকার ছিল সবচেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ জার্মানদের উদ্বেগ বেড়েছে অনেক খানি।

একজন বলেন, ‘কি আর বলব যে মানুষটার এখন সবচেয়ে প্রয়োজন বেশি সে আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান করোনা পজিটিভ। ভয় সেখানে না, তিনি যে অন্যান্য মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের লোকজনের সঙ্গে মিশেছেন তাদের কী হবে, তাই ভাবছি। যত দিন তিনি সুস্থ না হচ্ছেন আমার মতে তত দিন তিনি যেন কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি যাদের সঙ্গে মিশেছেন তাদের টেস্ট করানোর উচিত বলে মনে করি। সর্বোপরি সবাইকে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার কোনও বিকল্প দেখছি না।’ এই মুহূর্ত থেকে জার্মানির বাইরে ছুটি কাটাতে বা ঘুরতে না যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

‘এখন থেকে খুব সাবধানে থাকতে হবে সবাইকে। এমন পরিস্থিতে শান্ত থাকারও বিকল্প দেখছি না। জার্মানিতে বসবারত সবাইকে বলব আপনার যতটা সম্ভব পরিবারের সঙ্গেই থাকুন, পরিবারকে সময় দিন।’

এই অবস্থায় জার্মান ভাইরোলজিস্টরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চলতি মাসের শুরু থেকেই জার্মানিসহ ইউরোপের তাপমাত্রা কমে আসায় ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে উঠছে কোভিড-১৯। তাই যে কোনও উপায়ে সুরক্ষাবিধি না মানলে এই ভাইরাসের তাণ্ডব থেকে বাঁচা অসম্ভব।

ad

পাঠকের মতামত