344404

কাপড়ের মাস্ক পরুন, আমিও সেটাই করছি: প্রধানমন্ত্রী

করোনা ম’হামারি থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক থাকতে আবারও জোর অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘জনসমাগম বা বাইরে কোথাও গেলে অন্তত মাস্ক ব্যবহার করতে হবে সবাইকে’।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকালে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০ উদযাপন অনুষ্ঠানের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পরিসরে বনানীর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি মিলনায়তনে যুক্ত হয়ে এই আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাসহ দুর্ঘটনা রোধে সমাজের সব বয়সী মানুষকে ট্রাফিক আইন-কানুন মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় করোনা মহামারী প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন তিনি।

ইউরোপ-আমেরিকায় নতুন করে মহামারী করোনার সংক্রমণ বাড়ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক দেশ আবার লকডাউনে চলে গেছে। আমরা এখনো অনেকটা ভাল অবস্থানে আছি। কিন্তু আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সবাই কিছু না করেন, অন্তত যখন জনসমাগমে যান, বা মানুষের সাথে মেশেন তাদেরকে মাস্কটা পরতে হবে। আর এই মাস্কটা আমি বলবো যে ডিসপোজেবলটা না পড়ে, তিন পাল্লার কাপড় দিয়ে ঘরে তৈরি করা যায়, সেগুলো ব্যবহার করুন। কেননা, সাবান দিয়ে ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা ওটা আরও বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। একসঙ্গে কয়েকটা বানিয়ে রাখেন। হাতের সাথে রাখেন। একটি যদি নোংরা হয়, একটা ব্যাগে রেখে দেন। আরেকটা ব্যবহার করেন, পরে একসাথে সবগুলো ধুয়ে ফেলেন।’

কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি নিজেও ডিসপোজেবল মাস্ক ব্যবহার বাদ দেয়ার কথা জানান অনুষ্ঠানে। বলেন, ‘আমি নিজেও এটা শুরু করে দিয়েছি। নিজেও এখন কাপড়েরটাই পরা শুরু করেছি। আমি সিনথেটিকটা পড়া বাদ দিয়ে দিয়েছি। কারণ এগুলো যতবেশি আমরা ব্যবহার করছি এগুলো আসলে আমাদের তো ফেলে দিতে হয়, কিন্তু সেটা পরিবেশের জন্য আমাদের খুব সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই, আর ওগুলো (ডিসপোজেবল) শুধু আমাদের হাসপাতালের ডাক্তার নার্স বা হাসপাতালের যারা তারা ব্যবহার করবে, তাদের সুরক্ষার জন্য।’

সড়ক-মহাসড়কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে রাস্তা-ঘাট তৈরি করা হয়। কাজেই সেগুলি যাতে ভালোভাবে থাকে। সেটা রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের।

প্রত্যেকটা রাস্তায় গাড়ির গতিসীমা নির্দেশক স্থাপনের তাগিদ দিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন, ‘স্পিড লিমিট কত সেটা থাকতে হবে সড়কে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল। সব জায়গায় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সে ভাবেই ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে। কেউ যদি স্পিড ক্রস করে সাথে সাথে তার ফাইন (জরিমানা) হবে। কেউ যেন না করতে পারে, সেইভাবে আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। নতুন যত সড়ক হবে সেইভাবে সেই সব জায়গায় সেই সিস্টেমটা থাকতে হবে। দরকার হলে লেজার বিন দিয়ে গাড়ি আটকে দিয়ে গাড়ির কাছ থেকে ফাইন নিতে হবে। কাজেই সেই আধুনিক ব্যবস্থাটা আমাদের হাতে নিতে হবে। সেইভাবে আমাদের কাজ করতে হবে।

ad

পাঠকের মতামত