344424

এক সাংবাদিক ও এসআই মিলে সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে, সাংবাদিক নোমান লাপাত্তা

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পু’লিশ ফাঁড়িতে নি’র্যাতনে নি’হত রায়হান হ’ত্যাকা’ণ্ডের সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হলে ফের আলোচনায় আসে আলোচনায় আসে স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের নাম। নগরীর একটি কম্পিউটার দোকান থেকে নতুন হার্ডডিস্ক কিনে ফুটেজ ধারণকৃত পুরনো হার্ডডিস্কটি মূল অ’ভিযু’ক্ত এসআই আকবর, সদ্য বরখাস্ত এসআই হাসান ও নোমান মিলে গায়েব করেন। লাপাত্তা হয়ে যায় নি’র্যাতনের প্রমাণ ধারণ করা মূল হার্ডডিস্ক।

অ’ভিযু’ক্ত সিলেট ভিউ ডট কম’র প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল নোমান কোম্পানীগঞ্জ উপজে’লার বুরিডহর গ্রামের মো. ইছরাইল আলীর ছে’লে। তার বাবা কোম্পানীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক। আর মা মোছা. বিলকিস আক্তার উপজে’লা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, কোম্পানীগঞ্জের স্বাস্থ্য কর্মী।

মাসখানেক আগেও কোম্পানীগঞ্জে পু’লিশের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে তার নাম আলোচনায় থাকলেও এখন চাঞ্চল্যকর রায়হান হ’ত্যাকা’ণ্ডের ধারণকৃত নি’র্যাতনের ফুটেজ গায়েব করে তিনি নিজেও এখন লাপাত্তা। ইতোমধ্যে নোমানের অবস্থান জানতে শুরু হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা।

জানা যায়, এসআই হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় পত্রিকার এক সাংবাদিক মিলে ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়ির সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক পরিবর্তন করে নতুন হার্ডডিস্ক সংযোজন করে। নোমান গ্যালারিয়া শপিং সিটির ফ্রেন্ডস কম্পিউটার নামের এক দোকান থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় ৫০০ গিগাবাইটের একটি হার্ডডিস্ক ক্রয় করে, যার ইনভ’য়েস নম্বর ২৪৬০২। এরপর নোমান কম্পিউটারের দোকান থেকেই একজনকে নিয়ে যান সেই হার্ডডিস্ক পরিবর্তনের জন্য। সেই মা’র্কে’টের সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করে ত’দন্ত কমিটি।

ইতোমধ্যে মূল অ’ভিযু’ক্ত সাময়িক বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াকে পালাতে সহায়তা করার অ’প’রাধে ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব করার কারণে ফাঁড়ির টু-আইসি এসআই হাসান উদ্দিনকে বরখাস্ত করে পু’লিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।সিলেট মেট্রোপলিটন পু’লিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পু’লিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন এসএমপির উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের।

ত’দন্ত কমিটির মতে- এসআই হাসান উদ্দিন ওই কাজে সহায়তা করেছেন। এর পাশাপাশি এসআই হাসান উদ্দিন ঘটনার দিন নোমানের সঙ্গে ৪০ বার এবং এর আগের দিন ১৯ বার কথা বলেছেন। সিলেটে পু’লিশ হেফাজতে নি’র্যাতনে রায়হানের মৃ’ত্যুর পর সারা দেশে তোলপাড় শুরু হলে পালিয়ে যান নি’র্যাতনের মূলহোতা বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন। এতে সহযোগিতা করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির টু-আইসি এসআই হাসান উদ্দিন।

একই সঙ্গে বন্দরবাজার ফাঁড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজও নষ্ট করার অ’ভিযোগ রয়েছে হাসান উদ্দিন ও এক স্থানীয় সাংবাদিকের বি’রুদ্ধে। স্থানীয় ওই সাংবাদিক হলেন- আব্দুল্লাহ আল নোমান। যিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ বিদ্রোহী প্রেসক্লাবের শিক্ষা ও প্রযু’ক্তি সম্পাদক পদে আসীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় এসআই হাসান উদ্দিনকে বরখাস্ত করে পু’লিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পু’লিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পু’লিশ হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দেন। তবে তাকে গ্রে’প্তার করা হবে কিনা- তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মা’মলা’টির ত’দন্তভা’র পিবিআইয়ের কাছে। গ্রে’প্তারের বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা চাইলেই এসএমপি তাদের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর পু’লিশি নি’র্যাতনে রায়হান নি’হতের পর ১২ অক্টোবর পালিয়ে যায় প্রধান স’ন্দেহভাজন বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর। তার পালিয়ে যাওয়া নিয়ে পরবর্তীতে আরও একটি ত’দন্ত কমিটি করে এসএমপি।

ত’দন্ত কমিটির একটি সূত্র জানায়, এসআই হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় পত্রিকার এক সাংবাদিক মিলে ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়ির সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক পরিবর্তন করে নতুন হার্ডডিস্ক সংযোজন করে। স্থানীয় একটি পত্রিকার সেই সাংবাদিক গ্যালারিয়া শপিং সিটির ফ্রেন্ডস কম্পিউটার নামের এক দোকান থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় ৫০০ গিগাবাইটের একটি হার্ডডিস্ক ক্রয় করে, যার ইনভ’য়েস নম্বর ২৪৬০২। সেই মা’র্কে’টের সিসি টিভির ফুটেজও সংগ্রহ করে ত’দন্ত কমিটি। এরপর সেই সাংবাদিক কম্পিউটারের দোকান থেকেই একজনকে নিয়ে যান সেই হার্ডডিস্ক পরিবর্তনের জন্য।

ত’দন্ত কমিটির মতে, এসআই হাসান উদ্দিন ওই কাজে সহায়তা করেছেন। এর পাশাপাশি এসআই হাসান উদ্দিন ঘটনার দিন সেই সাংবাদিকের সঙ্গে ৪০ বার এবং এর আগের দিন ১৯ বার কথা বলেছেন। এছাড়া হাসান উদ্দিনের বি’রুদ্ধে এসআই আকবরকে পালানোর সহায়তার অ’ভিযোগও পেয়েছে ত’দন্ত কমিটি।

এদিকে ইতোমধ্যে নোমানের অবস্থান শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে গোয়েন্দা পু’লিশের একটি দল নোমানের গ্রামের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে গিয়ে নোমানের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। অ’পরদিকে নোমানের সাথে এসআই আকবরের দীর্ঘদিনের গভীর স’ম্পর্ক রয়েছে এবং নোমান আকবরকে তার খালাতো ভাই বলে পরিচয় দিতেন। যদিও নোমানের গ্রামের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। কিন্তু নোমান প্রায়ই আড্ডা বসাতেন। সেই আড্ডায় যু’ক্ত হতেন এসআই হাসান।

গত ১১ অক্টোবরে ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটলেও এ ঘটনার ২ দিন পর সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবের ক্ষেত্রে নোমানের নাম উঠে আসলে ১৩ অক্টোবর থেকেই তিনি আত্মগো’পনে চলে যান নোমান। একই দিন থেকে এ ঘটনায় মূল অ’ভিযু’ক্ত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াও পলাতক হন।

এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব ও আকবরকে পালাতে সহায়তায় করার ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও বাকি যারা সম্পৃক্ত তাদের ব্যাপারে পিবিআই কাজ করছে বলে জানালেন সিলেট মেট্রোপলিটন পু’লিশের অ’তিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশিরাফ উল্লাহ তাহের। তিনি বলেন, ‘আমাদের যার সম্পৃক্ততা পেয়েছি তার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাকিটা পিবিআই দেখবে। তবে আম’রাও কাজ করছি।’

ad

পাঠকের মতামত