343673

জীবিত গাছকে ম’রা দেখিয়ে কে’টে ফেলছে রংপুর জেলা পরিষদ

গাছগুলো এখনো জীবন্ত। কিন্তু কাগজ কলমে ম’রা, শুকনা, পোকা খাওয়া ও ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে নিজস্ব ক্যাম্পাস থেকে গাছ কে’টে ফেলছে জেলা পরিষদ। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ বলছে গাছগুলো কে’টে ফেলায় পথিকরা যেমন গাছের ছায়া থেকে বঞ্চিত হবে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরিবেশ।

প্রবেশ পথের দুই ধারে লাগানো দেবদারু গাছের ছায়া পেরিয়ে যেতে হয় রংপুর জেলা পরিষদ কার্যালয়ে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো বিশালাকার দেবদারু গাছগুলো কে’টে ফেলা হচ্ছে। কে’টে ফেলা হচ্ছে জেলা পরিষদ ভবনের সামনে ও পেছনে লাগানো আম, কাঠাল, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।

দরপত্রের পর তিন লাখ একাত্তর হাজার টাকায় জেলা পরিষদ নগরীর কাঠ ব্যবসায়ী জিপু বসুনিয়াকে গাছকাটার কার্যাদেশ দেয়। গাছ কাটার কারণ হিসেবে চিঠিপত্রে জীবন্ত গাছগুলোকে ম’রা, শুকনা ও পোকা খাওয়া দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল সংলগ্ন দু’একটি গাছ থাকলেও জেলা পরিষদ ভবনের সামনে-পেছনে কাটা হচ্ছে ৩৮টি গাছ।

রংপুর বসুনিয়া ফার্নিচার প্রোপ্রাইটর বলেন, গাছকাটা শুরু হয়ে গেছে। সামান্য কিছু বাকি আছে। আমার তো কিনে ফেলছি কিছু করার নেই। সেবা প্রত্যাশীরা বলছেন, গাছগুলো কে’টে ফেলায় জেলা পরিষদের সৌন্দর্য্যহানির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রাকৃতিক পরিবেশ। সেই সঙ্গে পথিকরাও আর গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে পারবেননা।

সেবা প্রত্যাশী সাধারণ মানুষ জানান, মানুষ ক্লান্ত হয়ে এখানে গাছের নিয়ে বসে বিশ্রাম নেয়। আর জীবিত গাছ তো কাটার কোন নিয়ম নেই। এ ব্যাপারে পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় কে’টে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

রংপুর জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, এই গাছগুলোর ভিতর নষ্ট হয়ে গেছে। যেকোন সময়ে মানুষের গায়ে পড়তে পারে। সেজন্য দুর্ঘটনা রোধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ৩৮টি গাছের মধ্যে জেলা পরিষদ ক্যাম্পাস থেকে ইতোমধ্যে ২০টির বেশি গাছ কে’টে নেয়া হয়েছে।

সূত্রঃ সময় টিভি

ad

পাঠকের মতামত