বাতিল ‘হতে পারে’ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাও!
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন্ন ভর্তি পরীক্ষাও বাতিলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা নিতে অসম্মতি জানিয়েছেন উপাচার্যরা। বিকল্প হিসেবে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য নেয়া টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন অথবা শিক্ষার্থীদের যে রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে, সেটির ওপর ভিত্তি করে ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছেন কেউ কেউ।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উপস্থিতিতে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এসব প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা যায়, কিংবা করোনার কারণে তা সম্ভব না হলে বিকল্প কী করা যায়, সে সব বিষয় নিয়ে আজ সভায় আলোচনা করা হয়েছে। সবাই নিজেদের মতামত দিয়েছেন। তবে করোনার মধ্যে পরীক্ষা আয়োজনে সবারই আপত্তি।
তিনি বলেন, সভায় কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। আগামী শনিবার পাবলিক উপাচার্য পরিষদের একটি সভা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে জবি উপাচার্য বলেন, তখন আবার এই ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামতে পারে। তাই সবকিছু বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক রফিকুল্লাহ খান বলেন, ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের আগে টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করে ভর্তি প্রস্তাব দিয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেয়াটা ঝুঁকির কারণ হতে পারে, আবার শিক্ষার্থী ভর্তি না করালে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি হবে। কয়েকজন উপাচার্য এতে সম্মতিও দিয়েছেন।
অন্যদিকে, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ।
