343364

সিজারের সময় ৩ বার ওটি’তে নিয়ে মূ’ত্রথ’লি-জরায়ু কা’টলেন চিকিৎসক, অব’শেষে মা’রা’ গে’লেন প্রসূ’তি

নেত্র’কোনা শহরে’র ছোট বা’জা’রের সুনেত্র হা’সপা’তাল অ্যা’ন্ড ডা’য়াগ’ন’স্টিক সে’ন্টারে ভুল চিকিৎসায় আ’ইরিন পার’ভীন ঝ’র্ণা (৩৬) নামে এক প্র’সূতির মৃ’ত্যু’ হয়েছে।

ঝ’র্ণার স্বজ’নরা জানান, সো’মবার (১২ অক্টোবর) বি’কেল ৩টার দিকে সু’নেত্র হা’সপাতা’লে চিকিৎসক জী’বন কৃ’ষ্ণ রায় ঝ’র্ণার সিজা’রিয়া’ন অ’পা’রেশন করেন। দুই ক’ন্যা”সন্তা’নের জননী ঝ’র্ণা সদর উপজে’লার লক্ষ্মী’গঞ্জ ইউনি’য়নের আত’কাপা’ড়া গ্রামে’র নূরে আলম খোকনের স্ত্রী’।

ঝ’র্ণার দেবর মো. আল মাসুদ ও ভ’গ্নি’পতি আব্দুল মা’ন্নান জা’নান, চিকিৎসক জী’বন কৃষ্ণ রায় সি”জারিয়ান অ’পা’রে’শ’নের সময় ভুল’বশ’ত ঝ’র্ণার মূত্র’থলি কে’টে ফে’লেন। পরে তার র’ক্ত’ক্ষ’রণ শু’রু হয়।

এরপর আবা’র’ তাকে অ’পা’রে’শন থি’য়েটারে’ নেন চি’কিৎস’ক। এ সময় কে’টে’ ফেলেন ঝ’র্ণার জরা’য়ু। এভাবে জ’টিল’তা বা’ড়তে থাকে তার। সেই সঙ্গে র’ক্ত’ক্ষ’রণ হ’চ্ছিল। পরে তৃ’তী’য়বারে’র মতো ‘তাকে অ’পা’রেশন থি’য়েটা’রে নেন চিকিৎসক। এতে তা’র শা’রী’রি’ক অবস্থা’র আরও অব’ন’তি হয়।

অব’স্থা বেগতিক দেখে সো’মবা’র রা’তে ঝর্ণা’কে ম’য়ম’নসিংহ মেডি’কেল কলে’জ হা’সপা’তা’লে নিতে বলেন চিকিৎসক। পরে ঝর্ণা”কে সেখানে নেয়া হয়। নে’ত্রকো’না থেকে ময়’ম’নসিংহ নেয়ার পথে ঝ’র্ণার শরীরে ১০ ব্যা’গ র’ক্ত’ দেয়া হয়।

ম’য়মন’সিংহ হা’সপা’তা’লে যাও’য়ার পর সু’নেত্র হাসপা’তাল ক”র্তৃপক্ষের পা’ঠানো লোক রো’গীর স’ঙ্গে থাকা চিকিৎসার প্রয়ো’জনী’য় কাগ’জপ’ত্র নিয়ে সট’কে প’ড়েন। এতে রো’গীর চিকি’ৎসা নিতে বে’গ পে’তে হয়।

এ বিষয়ে সুনেত্র হাস’পাতা”লের প’রিচাল’ক আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, কাগজগুলো রো’গীর প্র’য়োজন নেই। এগু’লো হাস’পা’তা’লে রাখতে হয়। সেজ’ন্য ‘নিয়ে আ’সা হয়েছে। এ ব্যাপা’রে অ’ভি’যু’ক্ত চিকিৎস’কের সঙ্গে যো’গাযো’গের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। একা’ধিক’বার তার মো’বাই’ল নম্ব’রে কল দিলেও রি’সি’ভ ক’রেননি।

খোঁজ নিয়ে জা’না যায়, সুনেত্র হাস’পাতা’ল থেকে ঝ’র্ণাকে রাতে ম’য়’মনসিংহ হাস’পাতা’লে পাঠি’য়ে দ্রু’ত অ’পর হাস’পাতা’লে চলে যান চি’কিৎসক। এ সময় ওই হা’সপাতা’লে গিয়েও তার স’ঙ্গে কথা বলাও সম্ভব হয়’নি।

এদিকে, মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) স’কালে ময়ম’নসিংহ হা’সপাতা’লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা’রা যা’ন ঝর্ণা। বিকেল ৩টা পর্যন্ত অ’ভি’যু’ক্ত চিকিৎসক জী’বন কৃ’ষ্ণের সঙ্গে কথা বলা সম্ভ’ব হয়নি। এমন ঘ’টনায় নেত্র’কোনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মা’নুষ ক্ষো’ভ প্র’কা’শ করেন। অ’ভি’যু’ক্ত চিকিৎ’সকের শা’স্তি চেয়েছেন অনেকেই।

লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়নের চে’য়ারম্যান এসএম শফি’কু’ল কাদের সুজা বলে’ন, একজন প্রসূতি মায়ে’র প্রস’বকা’লীন এক ঘণ্টার মধ্যে তিনবার ওটিতে নিয়ে অ’পা’রেশন করে মূত্র’থলি, জ”রায়ু কে’টে রো’গী’কে মৃ’ত্যু’র দিকে ঠেলে দে’য়া অন্যায়। বিষ’য়টি ত’দ’ন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। নয়’তো এ ধর’নের ঘটনা’ আরও ঘ’টবে।

নে’ত্রকো’নার অ’তিরিক্ত পু’লিশ সু’পার (সদর-সার্কেল) মুর্শে’দা খাতুন বলে’ন, এ বিষয়ে খোঁজ’খবর নিয়ে’ছি। মৃ’ত ঝর্ণার পরি’বারের লো’কজন অ’ভি’যোগ দিলে আ’ইন’গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চিকিৎসক জীবন কৃষ্ণের হাতে এর আগেও একাধিক প্রসূ’তির মৃ’ত্যু’র অ’ভি’যোগ রয়েছে। এসব ঘট’না’য় তার বি’রু’দ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এমন ঘটনা ঘটে’ই চলছে।

ad

পাঠকের মতামত