343110

তরুণ শান্তর কাছে হারলেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে জিতল নাজমুল শান্ত একাদশ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একাদশকে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেটে। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রিয়াদ একাদশ গুটিয়ে যায় ১৯৬ রানে। জবাব দিতে নেমে তৌহিদ হৃদয় আর ইরফান শুক্কুরের ফিফটিতে, ৪ উইকেটের জয় পায় শান্ত একাদশ।

মাহমুদুল্লাহ একাদশকে বলা চলে জাতীয় দলেরই ছায়া একাদশ। এই দলের বোলার রাকিবুল হাসান ছাড়া বাকি সব ক্রিকেটারই বিভিন্ন সময়ে খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। অন্যদিকে শান্তর একাদশের মুশফিকুর রহিম ছাড়া বেশিরভাগ ক্রিকেটারই তরুণ।

শের-এ বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিবারাত্রির ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল্লাহ একাদশের ২ ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ শুভসূচনা এনে দিতে পারেননি। ৭ রান করে রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন নাঈম। ১৩ রান করে তাসকিনের শিকার লিটন দাসও। ওয়ানডাউনে নামা মুমিনুল হক ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই।

এরপর জাতীয় দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মিলে দলের হাল ধরেন। ৪১ রান করেন ইমরুল। অন্যদিকে আসরের ১ম ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক রিয়াদ। ৮২ বলে ৫১ রান সংগ্রহ করেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

এরপর সোহান (১৪), সাব্বির রহমান (২২) কেউই পারেননি দলের হাল ধরতে। ফলে ৪৭.৩ ওভারে মাত্র ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ।

শান্ত একাদশের পেসার তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন ও মুকিদুল মুগ্ধ তিনজনই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। কোনো উইকেট পাননি লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন।

জবাব দিতে নেমে ভালো সূচনা পায়নি শান্ত একাদশও। দলীয় ২৭ রানে ওপেনার সাইফ হাসান ফেরেন ১৭ রান করে। সৌম্য সরকারও বেশিক্ষণ টেকেননি। তার সংগ্রহ ২১ রান।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাট হাতে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

ব্যাট হাতে একেবারে ব্যর্থ মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। ৭ মাস পর ব্যাট করতে নেমে তার সংগ্রহ মাত্র ১ রান। ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও।

এরপরই হাল ধরেন দুই উঠতি ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর। ৬ষ্ঠ উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ১০৫ রানের জুটি। বিপ্লবের শিকার হয়ে ৫২ রান করে আউট হন হৃদয়।

তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ইরফান শুক্কুর। তার সংগ্রহ ৫৬ রান। মাহমুদুল্লাহ একাদশের পক্ষে ৩ উইকেট নেন পেসার এবাদত হোসেন।

ad

পাঠকের মতামত