341066

এনসিবি’র টানা ৬ ঘণ্টা জে’রার মুখে যে সব কথা স্বীকার করলেন দীপিকা

বিনোদন ডেস্ক : প্রায় ছয় ঘণ্টা ধ’রে জি’জ্ঞা’সবাদের পর অবশেষে না’রকো’টিক্স ক’ন্ট্রো’ল ব্যুরোর (এনসিবি) দফতর থেকে বের হলেন দীপিকা। যদিও সারা এবং শ্রদ্ধার এখনও জে’রা চলছে। শনিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ মুম্বাইয়ের কোলাবা অ্যাপালো বন্দরের এভলিন গেস্ট হাউসে এসআইটি’র দফতরে মা’দক কা’ণ্ডে জিজ্ঞা’সবা’দের জন্য পৌঁছান দীপিকা।

বের হন বিকাল চারটা নাগাদ। দীপিকা পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই এনসিবি দফতরে ঢু’কতে দেখা যায় সুশান্তের ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে। গতকালও করিশ্মাকে জে’রা করেছিল এনসিবি। এই মুহূর্তে দীপিকা এবং তার ম্যানেজার করিশ্মাকে মু’খোমু’খি বসিয়ে জে’রা চলছে।

এনসিবি সূত্রের খবর, জে’রায় না’রকো’টিক্স ক’ন্ট্রো’ল ব্যুরোর (এনসিবি) কাছে দীপিকা স্বী’কার করেছেন হোয়াটসঅ্যাপের সেই গ্রুপে মা’দক নিয়ে ‘ডি’ এবং ‘কে’-র যে কথোপকথন হয়েছিল তা আ’দপে দীপিকা (ডি) এবং করিশ্মারই (কে) চ্যাট। একই সঙ্গে দীপিকা এও বলেছেন, ”মা’দক নিয়ে আলোচনা করলেও, তিনি নিজে মা’দক নেন না। কোনও দিন নেননি।”

মা’দককা’ণ্ডে দীপিকার নাম জড়িয়ে যাওয়ার নে’পথ্যে মূলত বছর তিনেক আগের এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। গত সোমবার এনসিবির হাতে আসে ওই চ্যাট। তাতে দেখা গিয়েছিল, ‘ডি’ এবং ‘কে’ নামে দুই ব্যক্তির মধ্যে মা’দক নিয়ে বেশ কিছু কথাবার্তা হয়েছে। কখনও ‘ডি’, ‘কে’র কাছে হ্যাশ চেয়েছে আবার কখনও বা ‘কে’ তাকে হ্যাশের জোগানের প্র’তিশ্রু’তি দিয়েছে।

বলিউডের একাংশ দাবি করেছিলেন ওই ‘ডি’ এবং ‘কে’ যথাক্রমে দীপিকা ও করিশ্মা। ঘ’টনা আরও জ’টিল হয়ে যায়, যখন এনসিবি’র বারেবারে জি’জ্ঞা’সবাদের ফলে সুশান্তের প্রাক্তন ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা কার্যত এনসিবি’র কাছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা স্বী’কার করে নেন। করিশ্মা, জয়া এবং দীপিকা, এই তিনজনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। জয়াই খুলেছিলেন গ্রুপটি, অ্যাডমিন ছিলেন দীপিকা।

এ দিন দীপিকাও জে’রায় সে কথা স্বী’কার করে নিয়েছেন বলেই এনসিবি সূত্রে খবর। প্রশ্ন, তিন বছর আগের এক চ্যাটের ভিত্তিতে ঠিক কতটা খে’সারত দিতে হবে বলিউডের এই ‘এ লিস্টার’কে? দীপিকার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও খবর। শোনা গিয়েছে, সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুব ধীর গতিতে ভেবে চিন্তে দিয়েছেন দীপিকা। আগে থেকেই নিজের আইনি টিমের সঙ্গে আলোচনা সেরে এসেছিলেন। সেই মতো উত্তর দিয়েছেন ভেবেচিন্তে।

শনিবার সকালে একেবারে সাদামাটা পোশাকেই এনসিবি’র দফতরে পৌঁছান দীপিকা। তারকা সুলভ কোনও কিছুই দেখা যায়নি তার অভিব্যক্তিতে। কালো চশমায় চোখও ঢেকে রাখেননি। করোনা কালে স’ত’র্কবিধি মেনে মুখ ঢাকা ছিল মাস্কে। এমনকি এ দিন যে গাড়িতে চেপে তিনি এনসিবি’র দফতরে পৌঁছান, তাও ছিল যথেষ্ট সাদামাটা।

 

ad

পাঠকের মতামত