340714

চোখ বেঁ’ধে যুবলীগ নেতাকে পুলিশি নি’র্যা’তন, ভিডিও ভা’ইরাল (ভিডিও)

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও চিত্র নিয়ে হ’ইচই পড়েছে ফরিদপুরে। বিষয়টি জেলার সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া পুলিশ ফাঁ’ড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামানকে নিয়ে। গেল সোমবার ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরাফাত তার নিজের ফেসবুক আইডিতে ভিডিওটি আপলোড করেন।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, জিনসের প্যান্ট ও কোট পরা এক ব্যক্তির হাতে হাতকড়া। দুই চোখ গামছা দিয়ে বাঁ’ধা। তার সামনের চেয়ারে এক ব্যক্তি। তিনি বলছেন, ‘তোর কী হইছে। কে মা’রছে। আমি তো তোগে লোক না। তোগে লোক হলে থানায় থাকতে পারতাম। আমি এমপি নিক্সন চৌধুরীর লোক।’ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন ভিডিওতে নিজের পরিচয় দেয়া ব্যক্তি হলেন পরিদর্শক আহাদুজ্জামান।  তিনি ওই পুলিশ ফাঁ’ড়ির দায়িত্ব পাওয়ার আগে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন।

ভিডিওতে হা’তকড়া পরা ব্যক্তি হলেন ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরাফাত।
এ ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান।
শেখ আরাফাত বলেন, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাউলিবেড়া এলাকা থেকে তাকে পুলিশ গ্রে’প্তার করে। হাতকড়া পরিয়ে গাড়ির মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্য তাকে মা’রধ’র করেন। পুখরিয়া এলাকায় তাকে ডিবি পুলিশের গাড়িতে তুলে দেয়া হয়। তখন তার চোখ বেঁ’ধে ফেলা হয়। নানাভাবে ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, ‘তোকে ক্র’সফা’য়ারে দেব। সকালের সূর্য তুই দেখতে পারবি না। আজই তোর শেষ রাত।’

আরাফাত আরও বলেন, রাতে তাকে এসপির কার্যালয়ের তিনতলায় ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে চেয়ারে পি’ঠমো’ড়া করে বাঁ’ধা হয়। এরপর তার দুই পায়ে বে’তের লা’ঠি দিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট পে’টা’নো হয়। এরপর ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার পে’টানো হয়। ডিবির তৎকালীন ওসি আহাদুজ্জামান আসেন। সেই ঘটনার ভিডিও তিনি আপলোড করেছেন।

১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আহাদুজ্জামান বলছেন, ‘…আমি তো তোগে লোক না। তোগে লোক হলে (ভা’ঙ্গায়) থানায় থাকতে পারতাম।’ আহাদুজ্জামান, পরিদর্শক, চন্দ্রপাড়া ফাঁড়ি, সদরপুর
আহাদুজ্জামান ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত ডিবির ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তাকে সদরপুরের চন্দ্রপাড়া ফাঁ’ড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন এই বিষয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আরাফাতকে চোখ বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। তাকে মারধর করা হয়েছে কি না, জানি না। এর আগে আরাফাত আমাকে বলেছিলেন, আমি নাকি নিক্সন চৌধুরীর লোক। এর উত্তরে আমি বলেছি, নিক্সন চৌধুরীর লোক হলে আমি থানাতেই থাকতে পারতাম।’

এর আগে আরাফাত আমাকে বলেছিলেন, আমি নাকি নিক্সন চৌধুরীর লোক। এর উত্তরে আমি বলেছি, নিক্সন চৌধুরীর লোক হলে আমি থানাতেই থাকতে পারতাম। আহাদুজ্জামান, পরিদর্শক, চন্দ্রপাড়া ফাঁড়ি, সদরপুর
আহাদুজ্জামান ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত ডিবির ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তাকে সদরপুরের চন্দ্রপাড়া ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন।

দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গায় পুলিশ জাফর উল্যার সমর্থকদের অন্যায়ভাবে গ্রে’প্তার, মা’রধ’র ও মা’মলা দেয় বলে দীর্ঘদিন ধরে অ’ভিযোগ করে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অ’ভিযোগসহ সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তারা। ভিডিওটির বিষয়ে ফরিদপুরের এসপি মো. আলিমুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ওই ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার রাতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামাল পাশাকে এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) গাজী রবিউল ইসলাম।

এই বিষয়ে এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, আরাফাত অনেক মা’মলার আ’সামী। বিষয়টি পরিকল্পনা করে হয়তো সাজিয়েছে। ওই ঘটনার আমি কিছু জানি না। সূত্রঃ আরটিভি নিউজ

ad

পাঠকের মতামত