340385

‘মজনুই ধ’র্ষক’ বললেন ঢাবি শিক্ষার্থী

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন, মজনুই সেই ধ’র্ষক। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেয়ার সময় তিনি মজনুকে ধ’র্ষক হিসেবে শনাক্ত করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম কামরুনাহার এ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

সাক্ষ্য গ্রহণকালে আ’সামি মজনুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর আগে গত ২৬ আগস্ট কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি চার্জ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। সেখানে মজনু নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। গত ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে যাচ্ছিলেন। আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে ভিকটিম (২১) পৌঁছালে আ’সামি মজনু পেছন থেকে গ’লা চে’পে ধরে পাশের ঝোপের আড়ালে মাটিতে ফেলে গ’লা চে’পে ধরেন। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে আ’সামি তাকে কি’ল-ঘু’ষি মে’রে ভয়ভীতি দেখালে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন মজনু ভিকটিমকে অ’চেতন অবস্থায় ধ’র্ষণ করেন। তিনি একজন অভ্যাসগতভাবে ধ’র্ষণকারী।

এর আগে র‌্যাব-১, উত্তরা এর সিপিসি-১ এর চৌকস দল গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের পাকা রাস্তার ওপর থেকে গ্রে’ফতার করে। গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে ভিকটিমের ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।

৬ জানুয়ারি ভিকটিমের অধ্যক্ষ বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নি’র্যাতন আইনে ধ’র্ষণের মা’মলা করেন।

মা’মলায় চলতি বছর ৯ জানুয়ারি আ’সামি মজনুর সাত দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রি’মান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

ad

পাঠকের মতামত