
করোনাকালে দেশে ফিরেছেন ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি প্রবাসী
বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালে এ পর্যন্ত ১ লাখ ১১ হাজার ১১১ জন প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বুধবার সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ফেরত কর্মীদের মধ্যে প্রায় সবাই কর্মকালের মেয়াদ শেষে অথবা সেখানে কাজ না থাকায় দেশে এসেছেন। ফলে করোনাকালে এ ফেরত আসার হার এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক নয়।
মন্ত্রী বলেন, ফেরত আসা কর্মীদের সামাজিক ও আর্থিকভাবে পুনর্বাসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এর বাইরে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিদেশ ফেরত কর্মী ও তার পরিবারকে শতকরা ৪ ভাগ সুদে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করছে। আর করোনাকালে বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের বিভিন্ন সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ১৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরের জুন থেকে এ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসী কর্মীর ৪.৫৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গত অর্থ বছরের তুলনায় এটা শতকরা ১.৫ ভাগ বেশি। প্রধানমন্ত্রীর শতকরা ২ ভাগ ইনসেনটিভ ঘোষণার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রেমিট্যান্স পাঠানো হয় ১৬.৪ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১৮.২ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী অর্থ বছরের তুলনায় শতকরা ১১ ভাগ বেশি।
ইমরান আহমেদ বলেন, করোনাকাল ও পরবর্তীতে বিদেশে বিদ্যমান শ্রম বাজার ধরে রাখা এবং নতুন বাজার খোঁজার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করছে।