
ফ্রান্সসহ ৮ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ঢু’কতে দিচ্ছে না নাইজেরিয়া
নাইজেরিয়া সরকার ফ্রান্সসহ আটটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটকে তাদের দেশটিতে ঢু’কতে দিচ্ছে না।এয়ারলাইন্সগুলো হল- এয়ার ফ্রান্স, কেএলএম রয়াল ডাচ, লুফথানসা, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, রাওয়ান্ড এয়ার, এয়ার নাবিবিয়া, রয়াল এয়ার মরক্কো এবং টাগ এঙ্গোলা।
এগুলোর মধ্যে এয়ার ফ্রান্স, কেএলএম রয়াল ডাচ, লুফথান্সা এবং ইতিহাদ এয়ারওয়েজ নাইজেরিয়ায় ঢুকার অনমুতি পায়নি কারণ সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে নাইজেরিয়ার পর্যটন ভিসা বন্ধ রয়েছে। খবর সিজিটিএন আফ্রিকার।
এভিয়েশন মন্ত্রী হাদি শিরিকা বলেছেন, ওইসব এয়ারলাইন্সগুলোকে করোনা মহামারির মধ্যে নাইজেরিয়ায় ঢুকতে দেয়া হবে না। রাওয়ান্ড এয়ার ছাড়া বাকি এয়ারলাইন্সগুলো তাদের ফ্লাইট এখন চালু করেনি বলে ঢুকতে পারছে না।
তবে ১৪টি এয়ারলাইন্স নাইজেরিয়ায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।এগুলো হল- মিডিল ইস্ট এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ডেলটা এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারওয়েজ,ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, ইজিপ্ট এয়ারলাইন্স, এয়ার পিস, ভার্জিন আটলান্টিক, আসকাই,
আফ্রিকা ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজ, এয়ার কোট আইভরি, কেনিয়ার এয়ারওয়েজ, ইমিরেটস এবং টার্কিশ এয়ারলাইন্স। শনিবার এভিয়েশনমন্ত্রী সিরিকা আবুজা এবং লাগোজ এয়ারপোর্টে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নাইজেরিয়া সরকার বিমানযাত্রী ও এয়ারলাইন্সের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যাত্রীদের করোনা টেস্টের সনদ দেখাতে হচ্ছে। সনদের মেয়ার চারদিন পার হয়ে গেলে আবারও নতুন করে তাদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। করোনা উপসর্গযুক্ত কোনো যাত্রীকে বিমানের টিকিট দেয়া হচ্ছে না। করোনা নেগেটিভ টেস্ট সনদ ছাড়া কোনো যাত্রী বিমানে উঠালে ৩৫০০ ডলার জরিমানা গুনতে হচ্ছে এবং যাত্রীকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য করা হচ্ছে।
২৯ আগস্ট থেকে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট চালু শুরু করে নাইজেরিয়া সরকার। করোনা মহামারী প্রতিরোধে দেশটি মার্চে সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।
সূত্র: সিজিটিএন আফ্রিকা