
সৌদির ওপর দিয়েই আ’মিরাত যাবে ইস’রায়ে’লের বিশেষ বিমান
যুক্তরাষ্ট্র ও ইস’রায়েলের কূটনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী ইস’রায়েলি বিশেষ বিমানটি সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবে সৌদি আরবের ওপর দিয়ে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তাদের কথা সত্য হলে সেটাই হবে প্রথমবারের মতো কোনও ইস’রায়েলি বিমানের সৌদির আকাশসীমা ব্যবহারের স্বীকৃত ঘটনা।
ইস”রায়েল-আমিরাত সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে সোমবার আবু ধাবি যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারসহ মার্কিন ও ইসরা’য়েলি কর্মকর্তারা। তাদের বহনকারী ইস’রায়েলি পতাকাবাহী এল আল এয়ারলাইনের বিমানটি ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিটের ওই ফ্লাইট পরিচালনা করতে সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করবে কি না এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে ‘হ্যাঁ’ বলেছে রয়টার্সের সূত্রটি। তবে বিশেষ কারণে নিজের নাম-পরিচয়, এমনকি জাতীয়তাও প্রকাশ করতে রাজি হননি ওই ব্যক্তি।
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কথিত ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছে আমিরাত-ইসরা’য়েলের মধ্যে। সেই ধারা আরও এগিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই ১৯৭২ সালের ইসরায়েল বয়কট আইন বা’তিল করে দেশটির ব্যবসায়ীদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে আরব আমিরাত। তাদের মতো আরবের অন্যান্য দেশগুলোও একই পথ বেছে নেবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও চলতি মাসেই সৌদি রাজ পরিবারের এক জ্যেষ্ঠ সদস্য জানিয়েছেন, রিয়াদ ইস’রায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে কেবলমাত্র ফি’লিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পরেই।
২০১৮ সালে খুব সংক্ষিপ্ত সূচির এক সফরে আচমকা ওমান সফর করেন ইস’রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এত অল্প সময়ের মধ্যে ওমান পৌঁছাতে তিনি সৌদির আকাশসীমা ব্যবহার করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে ইস’রায়েলি কর্তৃপক্ষ কখনোই এ রুট ব্যবহারের কথা স্বীকার করেনি।
গত ১৩ আগস্ট ইস’রায়েল ও আমিরাতের মধ্যে নতুন একটি চু’ক্তির কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এ চুক্তি অনুসারে দখ’লকৃত পশ্চিম তীরে ভূমি অধিগ্রহণ স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল।
তবে ফিলি’স্তিনিরা চুক্তিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের দাবি, এই চুক্তিতে ফিলি’স্তিনি জনগণের অধিকার উপেক্ষা করা হয়েছে।