338850

বাবার সঙ্গে প্রতি ওয়াক্তে নামাজ পড়তে যেতো ৭ বছরের জুবায়ের

শিশু জুবায়ের প্রতিদিনই বাবার সাথে নামাজ পড়তে যেত মসজিদে। কাজ শেষে বাবা বাসায় ফিরতেই। বাবাকে তাড়া দিত নামাজের জন্য। পড়শুনায় ও ছিল তার গভীর মনোযোগ। সব কিছু শেষ হয়ে গেলো মসজিদের আগুনে। এ কথাগুলো বলছিলো নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বি’স্ফোর’ণের ঘটনায় নি’হত শিশু জুবায়ের মা গার্মেন্টকর্মী রাহিমা বেগম।

রাহিমা বেগম বলেন, জুবায়ের বাবা জুলহাশ ও আমি ফতুল্লার কায়েমপুরে পৃথক দুটি গার্মেন্টে কাজ করি। এক বছর বয়সে জুবায়েরকে গ্রামের বাড়ি বরিশালের গন্ডাদুলা গ্রামে তার দাদীর কাছে রেখে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠি। এরপর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কাজে যোগ দেই।

গ্রাম থেকে আমার শাশুড়ি ফোন করে জানায় জুবায়ের স্কুলে যেতে চায়, পড়তে চায়। এরপর জুবায়ের বাবাকে বললাম ছেলেতো বড় হয়েছে। স্কুলে পড়ার বয়স হইছে। জুবায়েররে লইয়া আও। কোরবানীর ঈদের পর জুবায়েরকে নিয়ে আসি

আমাদের কাছে। এরপর বাড়ির কাছে সবুজবাগ মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তিও করেছি। স্কুল থেকে মাস্টাররা বললো করোনা গেলে স্কুলে দিয়ে যাবেন। এখনতো জুবায়ের আর কোন দিন স্কুলে যাবে না। তিনি বলেন, জুবায়ের তার বাবার সঙ্গে প্রতি ওয়াক্তে নামাজ পড়তে যেতো। শুত্রবারও গিয়েছিল। তার বাবার অবস্থাও ভালো না। আমি এখন কী করমু।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে (বড় মসজিদ) বি’স্ফো’রণে শিশু জুবায়েরসহ ৪০ জন দ’গ্ধ হন। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা বা’র্ন হাসপাতালে দগ্ধদের মধ্যে জুবায়ের রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা’রা যায়।

ad

পাঠকের মতামত