338617

মসজিদে বি’স্ফোর’ণে নি’হত শিশু জুবায়েরের বাড়িতে শোকের মাতম

বাবার সঙ্গে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল ৭ বছর বয়সী জুবায়ের। কিন্তু কে জানতো এটাই তার জীবনের শেষ নামাজ হবে। নিভে যাবে জীবন প্রদীপ। শুক্রবার এশার নামজের সময়কালীন নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাম মসজিদে বি’স্ফোর’ণে জুবায়ের (৭) মারা যায়। অ’গ্নিদ’গ্ধ হয়ে গু’রুতর আ’হত হয় তার বাবা সলেমান জুলহাস (২৮)। বর্তমানে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আ’শঙ্কাজন’ক বলে জানান পরিবার সদস্যরা।

নি’হত জুবায়েরের বাবার বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের বাহেরচর বাজারে এবং মা রাহিমা বেগমের বাড়ি একই ইউনিয়নের গন্ডাদুলা গ্রামে। শুক্রবার রাত ১ টায় শিশু জুবায়েরের মৃত্যুর খবর শুনে নানা বাড়ি ও দাদা বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার-স্বজনদের আহাজারি ও কান্নায় ওই এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, জুবায়েরের দাদা বাড়ি বাহেরচর বাজারে আত্মীয়-স্বজনদের কান্নার রোল চলছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে জুবায়েরের দাদি সালেহা বেগম বলেন, ‘কোরবানির এক সপ্তাহ পর জুবায়ের ঢাকা বাবা-মায়ের কাছে যায়। বাবার সঙ্গে ও (জুবায়ের) নামাজ পড়ত। মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে আমার আদরের সেই নাতি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। রাত ১ টায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আমার ছেলে জুলহাস মৃত্যুর সঙ্গে পা’ঞ্জা লড়ছে। তার জন্য সকলে দোয়া করেন। আমার বুকের মানিকরে যেন আল্লাহ ফিরিয়ে দেয়।’

শনিবার বিকেল ৪ টায় নি’হত জুবায়েরের মা রাহিমা বেগম মুঠোফোনে বলেন, তার ছেলে জুবায়েরের লা’শ তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা থেকে লা’শ নিয়ে তিনি রাঙ্গাবালীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। রাঙ্গাবালীতেই ছেলের লা’শ দা’ফন হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। আর তার স্বামীর অবস্থাও খারাপ বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ১০ বছর আগে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ঢাকায় পাড়ি জমান জুলহাস-রাহিমা দম্পতি। তারা দু’জনই নারায়ণগঞ্জে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ওই শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় তারা বসবাস করতো। সেখানকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রেণিতে তাদের ছেলে নিহত জুবায়ের লেখাপড়া করত।

এদিকে এই বি’স্ফো’রণের ঘটনায় রাঙ্গাবালীর আরও একজন মা’রা গেছেন। তার বাড়ি উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামে। তার নাম জামাল রাঢ়ি (৪০) বাবার নাম বেলায়েত রাঢ়ি। তিনিও পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন। তার লা’শও রাঙ্গাবালীতে আনা হচ্ছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

ad

পাঠকের মতামত