338665

কাতারে কাফালা প্র’থা বা’তিল, ভাগ্য খুলতে পারে ৪ লক্ষ বাংলাদেশির

বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ কাতার তাদের শ্রম আ;ইনে পরিবর্তন এনেছে, যেখানে বা;তিল ঘো’ষনা করা হয়েছে বহুল আ;লোচিত ‘কাফালা’ প্র’থা। এ ছাড়া দেশটিতে কর্মীদের জন্য সর্বনিম্ন মজুরি ১০০০ কাতারি রিয়াল, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার টাকার বেশি, নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রম আ;ইনে পরিবর্তনের ই’ঙ্গিত গত বছরই দিয়েছিল দেশটি।

কাফলা ব্যবস্থা বা;তিলের প্রেক্ষিতে প্রবাসী শ্রমিকেরা তাঁদের বর্তমান স্পন্সর বা নিয়োগকর্তাদের অ’নুমতি না নিয়েই চু’ক্তি শে’ষ হওয়ার আগে চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে স্পন্সর বা নিয়োগকর্তারা চাইলে ‘প;লাতক’ কর্মীদের বি;রুদ্ধে ফৌ;জদারি অ;ভিযোগ করতে পারবেন। সর্বনিম্ন মজুরি বি;ধিমালার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের শ্রমিকদের জন্য আবাসন এবং খাবারের জন্য ভাতা প্রদান করতে হবে।

এত দিন ধরে চলা কাফালার নি;য়মমতে, কোনো কর্মী অন্য কাজে যোগ দিতে চাইলে তাঁকে তাঁর উচ্চপদস্থ কর্মী বা সংস্থার অ’নুমতি নিতে হতো। দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকা সেই নি;য়মের এবার অ;বসান ঘ;টল। ফলে চাকরি ছে;ড়ে ক্ষেত্রে আলাদা করে অ’নুমতির প্রয়োজন হবে না।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলছে, এ পদ্ধতি বা;তিল হওয়ায় প্রবাসী শ্রমিকরা নিজের ইচ্ছানুযায়ী কফিল (নিয়োগকর্তা) পরিবর্তন ও দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন এবং কর্মসংস্থান চু;ক্তিতে নির্ধারিত শ;র্ত অনুযায়ী চলাচলের সম্পূর্ণ স্বা;ধীনতা পাবেন। তবে আ;ইনটি কার্যকর হতে কমপক্ষে আরও ছয় মাস সময় লাগবে।

কাতারে থাকা এবং খাওয়ার জন্য আগে কর্মীদের যে বেতন দেওয়া হতো, তা ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন নিয়মে। ন্যূনতম বেতন হবে এক হাজার কাতারি রিয়াল। ফলে শ্রমিকদের আয় অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

কাতারের শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী ইউসুফ মোহাম্মদ আল ওথমান ফাখরুও বলেন, এই নতুন আ;ইন একটি বড় মা’ইলফলক হিসেবে চি’হ্নিত হয়েছে। এতে শ্রমিক, নিয়োগকারী ও দেশ একইভাবে উপকৃত হবে।

কাফালার প্রথা পরিবর্তনের প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা- আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কাতার কিছু প্র’তিশ্রুতি দিল। শ্রমিকদের আরও বেশি স্বা;ধীনতা, সু;রক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদের বদলে ফেলার স্বা;ধীনতাও পেলেন কর্মীরা।

কাতারের এই পদক্ষেপের জন্য প্রশংসা করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, কাতার প্রবাসী কর্মীদের সু;রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ প’দক্ষেপ নিয়েছে। এটি উৎসাহজনক লক্ষণ যে শেষ পর্যন্ত কাতার সঠিক পথে চলছে। সংস্থাটির অর্থনৈতিক ও

সামাজিক ন্যায়বিচার বিভাগের প্রধান স্টিভ ককবার্ন বলেন, “সত্যিকার অর্থে শ্রমিকদের ন্যা;য়বিচারের জন্য দরকার ছিল। নিয়মিত পর্যালোচনা করে কর্মীদের মজুরি ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।”

পৃথিবীর সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের সুবিধা উপভোগ করা কাতার কাতার হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার। দেশটিতে বাংলাদেশের চার লাখের বেশি কর্মী কাজ করেন । তাই কাফালা পদ্ধতি বা;তিল এবং বেতন ও সুযোগ–সুবিধা বাড়লে পেলে সকলই উপকৃত হবেন।

২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম তৈরির কাজে যুক্ত কর্মীদের চাহিদা বাড়ার সুযোগসহ নানা সুযোগ বাংলাদেশিরা নিতে পারবেন। দেশটিতে প্রায় ২০ লক্ষাধিক প্রবাসী বাস করে

ad

পাঠকের মতামত