
১০০ বছর আগের অবস্থায় ফিরতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। করোনা মহামারির কারণে তৈরি আর্থিক সংকট যেন আগুনে ঘি ঢেলেছে। এরপর চীন-ভারতের সীমান্ত দ্বন্দ্ব নিয়ে অস্থির দুই দেশের বাণিজ্য। বিশ্বের শীর্ষ, দ্বিতীয় আর পঞ্চম অর্থনীতির দেশের চলমান দ্বন্দ্ব বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা দিনদিন বাড়িয়ে তুলছে। এমনও হতে পারে, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে বিশ্ব অর্থনীতি ১০০ বছর আগে যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থায় ফিরে যেতে পারে।
এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান রবার্ট জোয়েলিক। জোয়েলিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি’কে তিনি জানান, একসঙ্গে কাজ করে সংকট উত্তরণই একমাত্র মন্দা থেকে বিশ্ব অর্থনীতিকে রক্ষা করা সম্ভব হতে পারে। তা না হলে ১৯০০ সালের অবস্থায় ফিরতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি, যে সময় অর্থনীতির পাওয়ার হাউজগুলোর একে অন্যের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল। দেশগুলো যদি বিশ্বায়নের কথা না ভেবে শুধু নিজের দেশের উন্নয়নের কথা ভাবে, সংকট আরও প্রকট হবে বলেও আশঙ্কার জানান তিনি।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল নাগাদ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের সময় দায়িত্বে ছিলেন তিনিই। সেসময় আর্থিক সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ’র সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
তিনি জানান, ২০০৮-০৯ সালের আর্থিক মন্দা বড় সংকট হলেও সেসময় জি-২০ দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক একযোগে কাজ করেছে। প্রেসিডেন্ট বুশ আর প্রেসিডেন্ট ওবামাও সংকট নিরসনে কাজ করেছেন। এমনকি ব্রিটেন এবং চীনও সেসময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রণোদনা প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। সেই পারস্পারিক সহযোগিতা এখন দেখা যাচ্ছে না।
করোনা মহামারিতে এক দেশ আরেক দেশকে দোষারোপ না করে মন্দা ঠেকাতে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি এতো ক্ষয়ক্ষতির জন্য তিনি শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই দোষারোপ করেন। এর আগেও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের সময়ে কাজ করেছেন তিনি। তিনি জানান, শুরু থেকেই ট্রাম্পের কার্যক্রম সন্তোষজনক মনে হয়নি তার কাছে।