338534

একই পরিবারের তিনজনকে গু’লি করে মে’রেছিলেন প্রদীপ

প্রতিদিনই আদালতে জমা হচ্ছে প্রদীপের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগের পাহাড়। চাঁ’দাবা’জি, হ’ত্যা, মিথ্যা মা’মলায় ফাঁ’সানো সবটাতেই একচ্ছত্র নায়ক তিনি এবং তার বাহিনী।

২০১৯ সালের জানুয়ারির রাত দুইটা। ওসি প্রদীপের নির্দেশে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় খান জালালকে। গু’লি করে মে’রে ফেলার ভ’য় দেখিয়ে থানায় নিয়েই দাবি করা হয় বিশ লাখ টাকা। উপায় না পেয়ে নিজের গাড়ি বিক্রি আর জমানো কিছু টাকা মিলিয়ে ১৫ লাখ টাকা দেয়া হয় ওসি প্রদীপকে। তারপরও পিছু ছাড়েনি মা’মলার খড়গ।

ভুক্তভোগী খান জালাল বলেন, ‘আমাকে ৩ হাজার পিচ ই’য়াবা দিয়ে ধরছে। ৪ মাস আমি জেলে ছিলাম। মেজর সাহেবকে না মে’রে আমাদের টেকনাফের সবাইকে মা’রলেও কিছু হতো না তাদের।’

চাঁ’দাবা’জি, হ’ত্যা, নি’র্যাতন সব কিছুতেই সিদ্ধহস্ত সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। তার বি’রুদ্ধে একের পর অ’ভিযোগ জমা পড়ছে আদালতে। এবার প্রদীপের বি’রুদ্ধে একই পরিবারের তিনজনকে গু’লি করে হ’ত্যার অ’ভিযোগে আদালতে মা’মলা হয়েছে।

মা’মলার বাদি জানান, তিনজনকে ছাড়াতে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপ। কিন্তু দিতে না পারায় রাতেই তাদের হ’ত্যা করেন। শুধু হ’ত্যা করেই ক্ষা’ন্ত হননি, ভাং’চুর করা হয় বাড়ি। ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমাদের হুম’কি দিছিলো, যদি আমরা আইনের আশ্রয় নিই তাহলে অ’স্ত্র মা’মলায় আমাদের নাম যোগ করে দেয়া হবে। সেই ভ’য়ে আমরা আসতে পারিনি।’

সিনহা হ’ত্যা মাম’লার বাদীর আইনজীবী সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মুস্তফা বলেন, ‘আগে যারা মুখ খুলেছেন তাদের ধরে নিয়ে নি’র্যাতন করা হয়েছে। তাই সাক্ষীদের সুরক্ষা অবশ্যই দরকার।’ মানবাধিকার কর্মী মোহসীন শেখ বলেন, ‘সবার মধ্যে এখন একটা ভীতি আছে, যারা প্রতিবাদ করছেন এখন, তাদের ওপর পরে প্র’তিশোধ নেওয়া হতে পারে।’

এখন পর্যন্ত আদালতের দৃষ্টিতে আনা সাতটি হ’ত্যা মা’মলায় নি’হতদের বিষয়ে সব ধরনের রেকর্ডপত্র চেয়েছেন কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সূত্রঃ সময় টিভি

ad

পাঠকের মতামত