338463

আমি ফতুর হয়ে গেছি: ডা. জাফরুল্লাহ

করোনা পরীক্ষার অ্যান্টিবডি কিটের অনুমোদন না দেয়া বড় অংকের আর্থিক লোকসানে পড়ে ফতুর হয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

একটি জাতীয় দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ আগ্রহ দেখিয়েছিল এই অ্যান্টিবডি নেয়ার। ব্যাংকগুলো ডেকেছিল টাকা দেওয়ার জন্য; কিন্তু এখন আর কেউ টাকা দিতে চায় না। আমার ১০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। আমি ফতুর হয়ে গেছি। তারা মনে করে, আমি তো আর হাসপাতাল বন্ধ করে দেব না; দিতে হতেও পারে। আমরা টায়ার্ড হয়ে গেছি। তাদের কোনো ন্যায়নীতির কথা বোঝানো যায় না।

সম্প্রতি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে কোভিড-১৯-এর পরীক্ষা বন্ধ করতে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখা। গত সোমবার হাসপাতাল শাখা থেকে ফোন করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন মিয়া জানান, আমরা জানতে পেরেছি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আরটিপিসিআরে কভিড-১৯ টেস্ট করা হচ্ছে। কিন্তু তারা আমাদের কাছ থেকে কোনো রকম অনুমতি নেয়নি। অনুমতি ছাড়া কোনো হাসপাতালই কভিড-১৯ টেস্ট করতে পারে না।

সাম্প্রতিক সময়ে অ্যান্টিবডি কিট, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের নিবন্ধন নবায়ন না করা, অনুমোদন ছাড়া আরটি-পিসিআর টেস্ট চালু, অনুমোদন ছাড়া প্লাজমা থেরাপি সেন্টার চালুসহ একের পর এক বিষয় নিয়ে জটিলতা ও বিতর্কে জড়িয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, কত পারমিশন নেব। হাসপাতাল করার সময় লাইসেন্স করেছি। প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা দিয়েছি। এখন যদি প্রতিটা ল্যাবের জন্য আলাদা পারমিশন নিতে হয়, যন্ত্র আনতে পারমিশন নিতে হয়, সেটা স্রেফ চাঁদাবাজি ছাড়া কিছু নয়। প্রতিটা বিষয়ের জন্য আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে কেন? তাদের বরং এসে দেখা উচিত কাজটা ঠিকমতো হচ্ছে কি না, মেশিন ঠিক আছে কি না; কিন্তু সেটা তারা দেখছে না।

তিনি বলেন, তাদের উচিত দাম ঠিক করে দেওয়া। তারা সেটা করছে না। সরকারি হাসপাতালে কোনো জিনিসের ট্যাক্স লাগে না, আইসিডিডিআরবির লাগে না, বারডেমের লাগে না, আমার কেন ট্যাক্স লাগে! আমার তো বড় একটা ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টার। সেটা অনুমোদিত না। সম্ভবত এটাও একটা কারণ। কিন্তু আমি ২০ বছর ধরে বলছি এই জনবল তৈরি করার জন্য; কিন্তু সেটা করছে না।

ড. বিজন কুমার শীল কেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকতে পারলেন না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিই ভুল করেছি। আগে আমার এখানে তিনি ২০ বছর কাজ করেছেন। এবার আসার পরে আমি খেয়াল করিনি যে তাঁর সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টে সিল মারা রয়েছে যে তিনি এখানে কোনো কাজ করতে পারবেন না। ফলে আমাদের দেশের মানুষই ক্ষতির শিকার হলো। সূত্রঃ সময় টিভি

ad

পাঠকের মতামত