‘র্যাগ ডে’ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা থেকে সরে এল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষাজীবন শেষে ক্যাম্পাসে ‘র্যাগ ডে’র আয়োজন ‘নিষিদ্ধ’ করার কথা জানানোর একদিন পর সেই বক্তব্য থেকে সরে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ (বৃহস্পতিবার) এক ‘সংশোধিত’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘র্যাগ ডে নিষিদ্ধ’ সংক্রান্ত তথ্যটি ‘অসাবধানতাবশত ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে’, সেজন্য কর্তৃপক্ষ ‘দুঃখিত’।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, “র্যাগ ডে পালনের নামে ক্যাম্পাসে বা আবাসিক হলে অনাকাঙ্ক্ষিত, অমানবিক, অসৌজন্যমূলক, শৃঙ্খলা-পরিপন্থি কোনো আচরণ যাতে সংঘটিত না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক নজর রাখার কথা বলা হয়েছিল অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায়। এছাড়া ‘শিক্ষা সমাপনী’ বা গ্র্যাজুয়েশন উৎসবের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠান বা শোভাযাত্রা আয়োজনের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় একটি কমিটি করে দেওয়া হয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে গঠিত পাঁচ সদস্যের ওই কমিটিতে কলা অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিনরা সদস্য হিসেবে আছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর থাকছেন কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘র্যাগ ডে’নিয়ে আলোচনা হয়।
রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সভায় কথিত ‘র্যাগ ডে’র নামে অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভূত উৎসব আয়োজন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অনেকেই। শিক্ষার্থদের কেউ কেউ দাবি করেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘র্যাগিংয়ের’ নামে শিক্ষার্থীদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বুধবার এ বিষয়ে বলেছিলেন, “র্যাগ ডে উদযাপন করতে গিয়ে অনেক সময় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো হয়। তাই যেসব উদযাপন এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয়, সেগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মার্জিত উপায়ে আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠান বা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো বাধা থাকবে না।”।
