338259

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে কাতার, রাজধানী পূর্ব জেরুজালেমে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধ মেটাতে পৃথক দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে কাতার। সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হতে পারে পূর্ব জেরুজালেমে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা এবং হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারকে নিজেদের এ অবস্থানের কথা জানিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

সম্প্রতি ইসরায়েল-আমিরাতের মধ্যে কথিত ঐতিহাসিক চুক্তি পরবর্তী উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরবের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক নিবিড় করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দোহায় কাতারের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জ্যারেড কুশনার।

এদিন শেখ তামিম ট্রাম্পের জামাতাকে জানিয়েছেন, ২০০২ সালের আরব শান্তি উদ্যোগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকবে কাতার। ওই সময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল আরব দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে কেবল স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন এবং ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েলের দখল করা সব ভূমি ছেড়ে দেয়ার পরেই।

রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কাতার নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শেখ তামিম-কুশনারের মধ্যে বৈঠকে কাতার-যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া দুই পক্ষের অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে কথা হয়েছে তাদের মধ্যে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত হচ্ছে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা তৃতীয় আরব দেশ। তাদের আগে মিসর ও জর্ডান ইসরায়েলিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এই ধারা আরও এগিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই ১৯৭২ সালের ইসরায়েল বয়কট আইন বাতিল করে ইসরায়েলি ব্যবসায়ীদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে আমিরাত। তাদের মতো আরবের অন্যান্য দেশগুলোও একই পথ বেছে নেবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই লক্ষ্যে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমিরাত সফরের পর চলতি সপ্তাহে বাহরাইন এবং সৌদি আরবও সফর করেছেন জ্যারেড কুশনার।

যদিও চলতি মাসেই সৌদি রাজ পরিবারের এক জ্যেষ্ঠ সদস্য জানিয়েছেন, রিয়াদ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে কেবলমাত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পরেই। গত ১৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিক একটি চুক্তি হওয়ার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ চুক্তি অনুসারে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল।

তবে ফিলিস্তিনিরা চুক্তিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের দাবি, এই চুক্তিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার উপেক্ষা করা হয়েছে।

তাছাড়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, আমিরাতের সঙ্গে চুক্তির শর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে মাত্র, পুরোপুরি বাতিল করা হয়নি। তার এ ঘোষণাতেও আমিরাতের সঙ্গে হওয়া চুক্তির বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা

 

ad

পাঠকের মতামত