338087

ওসি প্রদীপের স্ত্রীর খোঁজ মিলছে না, প্রশাসনের গাফিলতি বলছে সনাক

৪ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের মা’মলার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকির। তিনি আ’ত্মগোপনে চলে যাওয়ায় দুর্নীতির মা’মলার কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে মনে করছে দুদক। এতে প্রশাসনের গাফিলতি দেখছে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)।

টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মধ্যে স্ত্রী চুমকির নামে নগরীর পাথরঘাটায় বাড়ি, পাঁচলাইশে দেড় কোটি টাকার জায়গা ও বোয়ালখালীতে বেশকিছু পুকুরের তথ্য পায় দুদক।

দীর্ঘ এক বছর ধরে সাবেক ওসি প্রদীপ ও স্ত্রীর বি’রুদ্ধে অ’বৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক অনুসন্ধান চালালেও অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হ’ত্যাকা’ণ্ডের পর তা গতি পায়। এরই মধ্যে দুজনের বি’রুদ্ধে ৪ কোটি টাকা অ’বৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় দুদকের তদন্ত কমিটি। এসব অভিযোগে গত ২৩ আগস্ট দুদক সমন্বয় কার্যালয় দুজনের নামে মা’মলাও করে দুদক। এরপর থেকে চারদিকে গুঞ্জন চলছে প্রদীপের স্ত্রী চুমকি ভারতে পালিয়েছেন। এমন সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছেন না দুদকের আইনজীবীরাও।

দুদক আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, আ’সামি প্রদীপের স্ত্রীকে যেহেতু পলাতক রয়েছেন। তিনি যেন দেশ থেকে পালাতে না পারেন সে জন্য ইমিগ্রেশনে তার বি’রুদ্ধে মা’মলা করা আছে। তিনি দেশত্যাগ করতে পারেবেন না।

চুমকির পালানোর খবর যখন চারদিকে ডালপালা মেলতে শুরু করে ঠিক তখনই (৩১ আগস্ট) প্রদীপের স্ত্রী দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য সব ইমিগ্রেশন চিঠি দেয় দুদক। আ’সামি আ’ত্মগো’পনে থাকলে মা’মলার কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে জানায় দুদক।

দুদকের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, মা’মলা তদন্তাধীন আছে। শুনানির তারিখটা কোর্টে পাবেন।আ’ত্মগোপনে যাওয়ার সুযোগ তৈরিতে প্রশাসনের গাফিলতিকে দুষছে সনাক।সনাক সভাপতি আখতার কবির চৌধুরী বলেন, তাকে ‘আত্মগোপনের সুযোগ করে দেয়া হবে। এর জন্য পুরো দায়ী পুলিস প্রসাশনের।

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রঃ সময় টিভি

ad

পাঠকের মতামত