337715

‘ডা’কাত ধরতে’ তল্লাশি চৌকিতে গিয়ে মেজর সিনহাকে গু’লি করেন লিয়াকত

‘ডা’কাত ধরতে‘ তল্লাশি চৌকিতে গিয়ে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে নিজেই গু’লি করেন টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। রোববার আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সিনহা হ’ত্যা মা’মলার প্রধান আসামি লিয়াকত আলী এসব তথ্য জানান।রোববার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে টানা পৌনে ৫ ঘণ্টা ধরে জবানবন্দি দেন লিয়াকত।

মা’মলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তিন দফা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পরিদর্শক লিয়াকত আলী সিনহা হ’ত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি সুস্থ মস্তিষ্কে রোববার আদালতে এসে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন। লিয়াকত আলী ওই সময় টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন। তিনি পুলিশের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শকও।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, মারিশবুনিয়া গ্রামের তিন ব্যক্তি লিয়াকত আলীকে ফোন করে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা এক ব্যক্তির (সিনহা) কাছে আ’গ্নেয়াস্ত্র আছে এবং তিনি ডা’কাত দলের সদস্য বলে জানায়। লিয়াকত আলী তাদের কথা বিশ্বাস করে চেকপোস্টে অবস্থান নিয়ে সিনহাকে গু’লি করেন।জবানবন্দিতে লিয়াকত আলী এসব কথা বলার চেষ্টা করেছেন।

রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন কোর্ট পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।

তিনি জানান, এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক আইসি পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে আদালতে আনা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দি গ্রহণের আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লিয়াকতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

এর আগে এ হ’ত্যা মা’মলায় এপিবিএনের এএসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে তাদের কা’রাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত বুধবার এ মা’মলার আ’সামি এপিবিএন কনস্টেবল আবদুল্লাহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

গত ১৭ আগস্ট এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয় র‌্যাব-১৫ কার্যালয়ে। পরের দিন ১৮ আগস্ট এ মা’মলায় তাদের গ্রে’ফতার দেখিয়ে আদালতে ১০ দিনের রি’মান্ডের আবেদন জানালে সাত দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গু’লিতে নি’হত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ৫ আগস্ট ‘নি’হত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করেন।

৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আ’সামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

ad

পাঠকের মতামত