337501

গায়েবি মামলার ফাঁদ, ভাড়ায় মেলে বাদী-সাক্ষী

ভাড়ায় মেলে মামলার বাদী ও সাক্ষী। কাউকে হয়রানি করতে মামলার কনট্রাক নেয় চক্রটি। যারা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে করে ভুয়া মামলা। পরে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেয় অর্থ ও সম্পদ। সময় সংবাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমনই এক চক্রের তথ্য। এরসঙ্গে এক শ্রেণির অসাধু আইনজীবী জড়িত মনে করেন ভুক্তভোগীরা।

২০১৭ সালে বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেলিস্ট মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সোহেল চৌধুরীর। এরপরেই স্ত্রীর বাবা ঠুকে দেন নারী নির্যাতনের মামলা। জেলে যাওয়ার পর তার নামে বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে থাকে একের পর এক মামলার খড়গ।

ভুক্তভোগী সোহেল চৌধুরী বলেন, ‘জেলে থাকার সময় অনেকজনের সাথে পরিচয় হয়েছে। যাদেরও আমার মত বিভিন্ন জেলা থেকে মামলা আসে।’

নথি ঘেঁটে দেখা যায় ঢাকা জজ কোর্টে হামিদা বেগম নামের এক নারী সোহেলের নামে মানব পাচার ও নারী নির্যাতন মামলায় মামলা করেন। যেখানে সাক্ষী বাদীর স্বামী আহমেদ আলী ও ভুক্তভোগী মেয়ে সোনিয়া আক্তারসহ ৫ জন।

অনুসন্ধানে দেখা যায় এই চক্রটি ঘুরেফিরে বাদী ও সাক্ষী হয়ে আরো একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই অভিযোগে সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে মামলা করেছে। মামলার নথিতে দেয়া বাদীর ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, বাস্তবে এই ঠিকানার কোন অস্তিত্ব নেই। এমনকি ব্যবহৃত ফোন নম্বারটিও বন্ধ।

সোহেলের আইনজীবী মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ বলেন ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে এই চক্রের সদস্যরা আদালতে মামলা করেই সটকে পড়েন। পরবর্তীতে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না, ফলে মামলার কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হয়।

মানুষ থানা থেকে শুরু করে কোথাও আইনী প্রতিকার না পেলে ন্যায়বিচারের আশায় হাজির হন আদালতে। কিন্তু সেই আদালতেই যদি এমন গায়েবী মামলার ফাঁদে পড়ে বছরের পর বছর ঘুরতে হয় তবে সেই প্রতিকার কোথায় মিলবে, এমন প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের। সূত্রঃ সময় টিভি

ad

পাঠকের মতামত