333849

‘প্লিজ, কেউ আমার আম্মুকে বাঁ’চান’

নিউজ ডেস্ক।।  রাজধানীর ধানমন্ডির মধুবাজার এলাকায় মাকে বাঁ’চানোর আকুতি জানিয়ে ফেসবুক লাইভে এসেছিল উচ্চ মাধ্যমিকের এক শিক্ষার্থী। লাইভে সে বলছিল- ‘প্লিজ, কেউ আমার আম্মুকে বাঁ’চান, প্লিজ। আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের সঙ্গে খা’রাপ ব্যবহার করছে।

আমার বাবা আম্মুকে খুব মা’রতেছে। কেউ বাঁ’চাচ্ছে না। কেউ বাঁ’চান, প্লিজ। এই লোকটাকে (নিজের বাবাকে) কেউ ধরে না। এর নাম হাক্কানি খসরু। কেউ ধরে না। পুলিশও ধরে না। এত নির্যাতন করে আম্মুর ওপর কিন্তু কেউ ধরে না। দুপুরে দুবার মাকে ফাঁ’স লাগিয়ে মারতে গেছে। এই লোক খুব টর্চার করতেছে। প্লিজ, কেউ আম্মুকে বাঁ’চান।’

হাক্কানি খসরু একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা আছে তার। দুবছর আগে স্ত্রী সাহেদা বেগমের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় তার। এ দম্পতির দুই মেয়ে। তাদের বড় মেয়ে ফেসবুক লাইভে আসা কলেজছাত্রী। গত সোমবার সকালে ফেসবুক লাইভে এসে মাকে বাবার হাত থেকে বাঁ’চানোর জন্য আকুতি জানায় সে। এ সময় ঘরেই ছিলেন খসরু।

এদিকে লাইভ ভিডিওটি দেখে সাহেদা বেগমের বাড়ি যায় পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. হাসিনুজ্জামান জানান, সোমবার সকাল ১০টায় ভিডিওটি দেখে পুলিশ তাদের বাড়ি যায়। কিন্তু ভুক্তভোগীরা পুলিশকে সহযোগিতা করছিলেন না।

পরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একজন নির্বাহী হাকিমসহ ফের সাহেদা বেগমের বাড়ি যায় পুলিশ। এ সময় তারা সাহেদা ও তার মেয়ের সঙ্গে তারা কথা বলেন।

সাহেদার অ’ভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলেও তাকে নি’র্যাতন করেন খসরু। এমনকি সোমবার সকালেও তাকে নি’র্যাতন করেছিলেন খসরু।

মেয়ের লাইভেও এ বিষয়ে কথা বলেন সাহেদা। তিনি বলেন, ‘সকালে ভ’য়ংকর অ’পরাধীর মতো নি’
র্যাতন করেছে। সব ম্যানেজ করে বেড়ায়। সাহেদের থেকে একশগুণ বেশি অপরাধী। শুধু মি’থ্যা কথা বলে। অকল্পনীয় নির্যাতন করে। অনেক বাজে কাজও করে। নেশা করে। ড্রা’গ এডিক্টেড। সারা জীবন নি’র্যাতন করে। হাক্কানি খসরু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডার। হাক্কানি খসরু, তার অকল্পনীয় পাওয়ার। পুলিশ আমাদের কথা শোনে না। মাদক ও নারী ব্যবসা করে। আমাকে বেঁচে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করে। এই বাসা, দেহ ব্যবসার কাজে ব্যবহার করত। ২০১৭ সালে ধরা পড়ে। তারপর তাকে আমি ডিভোর্স দিয়ে দিছি। কিন্তু তাও আমাদের ওপর নির্যাতন করে। সুযোগ বুঝে বাসায় ঢুকে আমাদের ওপর নি’র্যাতন করে।’

হাজারীবাগ থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই কলেজছাত্রী অ’ভিযোগ করে বলেন, ‘সারাক্ষণ অ’বিচার করে। আর শুধু মি’থ্যা কথা বলে। অকল্পনীয় নির্যাতন করে আম্মুর ওপর।’

পুলিশের কাছে একটা লিখিত অ’ভিযোগ দিয়েছেন সাহেদা। খসরুর বি’রুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এসি মো. হাসিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ত’দন্ত করছি।’

ad

পাঠকের মতামত