332684

অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিন নিয়ে ল্যানসেটের প্রকাশিত আর্টিকেলের ভাবাংশ (জরুরি ভিত্তিতে বাংলায় তর্জমা করা)

ড. আরমান রহমান: এপ্রিলের ২৩ তারিখ থেকে মে মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত ১০৭৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপর অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিন ট্রায়াল হয়েছে, পরীক্ষার জন্যে ৫৪৩ জনকে করোনার ভ্যাক্সিন এবং ৫৩৪ জনকে মেনিনজাইটিসের ভ্যাক্সিন দেয়া হয়েছিল।

কেউই জানত না তাদের কে কোন ভ্যাক্সিন টি দেয়া হয়েছে। দেখা গেছে করোনা ভ্যাক্সিন গ্রূপে ভ্যাক্সিন জনিত কিছু সাইড ইফেক্ট যেমন ইনজেকশনের জায়গায় ব্যাথা, গায়ে ব্যাথা, জ্বর জ্বর ভাব,গা কাঁপুনি, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ অন্য গ্রূপের চেয়ে বেশি ছিল. তাদের অনেককেই প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে হয়েছে।

কিন্তু কোন ধরণের সিরিয়াস সাইড ইফেক্ট কারো মধ্যে দেখা যায় নি. এই ভ্যাক্সিন সবার শরীরে টি সেল রেস্পন্স এবং নিউট্রালাইজিং এন্টিবডি -দুইটাই তৈরী করতে পেরেছে। করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিপরীতে টি সেল তৈরী হতে সময় লেগেছে ১৪ দিন. এন্টিবডি আই জি জি তৈরী হতে সময় লেগেছে ২৮ দিন. বুস্টার ডোজ দেয়ার পরে এই এন্টিবডি আরো বেশী তৈরী হয়েছে।

প্রথম ডোজ দেয়ার পরে ৩৫ জনের মধ্যে ৩২ জনের শরীরে নিউট্রালাইজিং এন্টিবডি এসেছে, দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পরে সবার শরীরেই এই এন্টিবডি দেখা দিয়েছে।নিউট্রালাইজিং এন্টিবডির পরিমান এলাইজা টেস্টে পাওয়া এন্টিবডির (যেমন আইজি জি, আইজি এম) সমান এর মানে হল যে এন্টিবডি তৈরী হইছে তারা করোনা ভাইরাস কে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। ফেসবুক থেকে

ad

পাঠকের মতামত