331107

দুই শিশুকে মোবাইল চু’রির অ’ভিযোগে গাছের সঙ্গে বেঁ’ধে নি’র্যাতন

নিউজ ডেস্ক।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগানে মোবাইল চু’রির অ’ভিযোগে দুই শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁ’ধে নি’র্যাতনের অ’ভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে মুন্না পাশি (১২) ও জগৎ নুনিয়া (১৩) নামে ওই দুই শিশুকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে গাছের সঙ্গে বেঁ’ধে কয়েকজন মিলে মা’র’ধর করে। পরে বিকেল ৩টার দিকে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৭টার দিকে মোবাইল চু’রির অ’পবাদ দিয়ে চা বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার মামুনুর রশীদ দুই শিশু মুন্না পাশি ও জগৎ নুনিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান। পরে চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নারদ পাশিসহ কয়েকজন মিলে বাগান ঘরে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁ’ধে তাদের মা’রধ’র করেন। এরপর তাদের দুইজনকে কুরমা চা বাগান ফ্যাক্টরির সামনে গাছের সঙ্গে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বেঁধে রাখেন।

মুন্না পাশির মা জানান, ইউপি সদস্য দীপেন সাহা উপস্থিত থেকে তাদের পি’টিয়ে’ছেন। সঙ্গে ছিল চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নারদ পাশি, সাদেকসহ অনেকে। বিকেল ৩টায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৪টায় মুন্না ও জগৎকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে তারা থানায় মা’মলা করবেন।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসলামপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দীপেন সাহা বলেন, শিশুদের বেঁধে রাখা হয়েছিল। তবে নি’র্যাতন করা হয়নি। কয়েকটি চড়-থা’প্পড় দেয়া হয়েছে মাত্র। পরে বিকেল ৩টার পর অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

কুরমা চা বাগানের ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, মোবাইল চু’রির অ’পরাধে দুই শিশুকে আ’টকে রাখা হয়ছিল। কোনো নি’র্যাতন করা হয়নি। পরে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

কমলগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, মোবাইল চু’রির অ’ভিযোগে তাদের আটকানো হয়েছিল। তবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অ’ভিযোগ করেনি। অ’ভিযোগ পেলে ত’দন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ad

পাঠকের মতামত