330677

করোনা: মুসলিমের লা’শ শশ্মানে, হিন্দুর লা’শ কবরে!

নিউজ ডেস্ক।। ভারতে মহামারি করোনা ভাইরাসে মা’রা গেলে লা’শের মুখ দেখতে দেওয়া হয়না কোনো পরিবারকেই। করোনা সং’ক্রমণে প্রা’ণ যখন চলে যায় আপনজনের, সেই অবস্থায় লা’শ শ’নাক্ত করার কথা মনেও আসে না কারোর। বিপত্তির শুরুটা এখান থেকেই।

শেষবার প্রিয়জনের মুখ দেখতে গিয়েই ধাক্কাটা লাগে। এ কার দেহ! প্লাস্টিকে মুড়িয়ে যে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে সে তো অন্য কারও। তার ধর্মও ভিন্ন। এমন সা’ঙ্ঘাতিক ঘটনা ঘটে গেছে ভারতের দিল্লিতে। আর ঘটনাটি ঘটিয়েছে ভারতের বিখ্যাত এইমস হাসপাতাল।

গত ৭ জুন করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে মৃ’ত্যু হয় দুই নারীর। একজন হিন্দু ও অন্যজন মুসলিম। পরদিন সকালে দুই পরিবারকেই লা’শ নিতে ডাকা হয়। মুসলিম পরিবার গণমাধ্যমকে জানায়, সকাল ৮টা নাগাদ ম’র্গ থেকে মৃ’তদেহ প্লাস্টিকে জড়িয়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুখ দেখা যায়নি। সাতজন গিয়েছিলেন দেহ নিতে। কয়েকজন ছিলেন এইমসের ট্রমা সেন্টারে, বাকিরা দিল্লি গেটের কাছে কবরস্থানে। সেখানে সব রীতি রেওয়াজের পরে মৃ’ত নারীর তিন সন্তান তাদের মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখতে চায়। ঠিক এই সময়েই ধাক্কা খায় তারা।

মৃতের ভাই বলেন, দিল্লি গেটের ওই কবরস্থানে দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা তাদের মৃতদেহের মুখ দেখতে দিচ্ছিলেন না। তার বক্তব্য ছিল, প্লাস্টিক ও অন্যান্য সুরক্ষার আবরণ সরিয়ে মুখ দেখতে গেলে ৫০০ টাকা দিতে হবে। শেষে তার শর্তে রাজি হয়ে লাশের মুখ দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। প্লাস্টিকে মোড়া দেহ তো তাদের আপনজনের নয়। অন্য এক নারীর দেহ যিনিও একই সময় এইমসে ভর্তি হয়েছিলেন করোনা সং’ক্রমণ নিয়ে। তার থেকেও যে চিন্তার কারণ হচ্ছে, এই মহিলার ধর্মও তো আলাদা। যদি দেহ বদলে যায়, তাহলে তাদের পরিবারের মানুষের শেষকৃত্য কোথায় হচ্ছে?

ভ’য় এবং আ’শঙ্কার যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল সকলের মনে সেটাই সত্যি হয়ে দাঁড়ায়। মৃতার ভাই জানিয়েছেন, যতক্ষণে তারা হাসপাতালে পৌঁছে পুরো ব্যাপারটার নিষ্পত্তি করেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাদের পরিবারের মানুষের শেষকৃত্য হয়ে গেছে পাঞ্জাবি বাগ শ্মশানে। ওই হিন্দু পরিবারও জানত না যে দেহ বদলে গেছে। যাকে দাহ করা হয়েছে তিনি অন্য মানুষ। আর তাদের পরিবারের মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কবরস্থানে।

এদিকে সব জেনে এখন এইমস হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টার জানিয়েছে, ঘটনার ত’দন্ত শুরু হয়েছে। মর্গের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত