330232

৭ বছর আগে করোনারই মতো এক ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করে চীন!

সারা বিশ্বে যখন কাঁপছে করোনা আত’ঙ্কে তখনই সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। সানডে টাইমসের এই সাম্প্রতিক প্রতিবেদন সামনে আসার পরে আবারো তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে। উহানের বায়োসেফটি ল্যাবরেটরিতে সাত বছর আগেই করোনাভাইরাসের মতো ভাইরাল স্ট্রেন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরিত্যক্ত খনি থেকে বাদুড়ের শরীরের নমুনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বায়োসেফটি ল্যাবে। সেই ভাইরাল স্ট্রেন নিয়ে গবেষণাও চলছিল। এর জের ধরেই করোনা রাসায়নিক মা’রণাস্ত্র কিনা সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহলে।

করোনাভাইরাসের উৎস কী? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল-৩ ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস। অভিযোগ উঠেছিল, রাসায়নিক মা’রণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা হচ্ছিল বায়সেফটি ল্যাবে, সেখান থেকেই কোনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস।

করোনা বিপর্যয়ের এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের উৎসের প্রসঙ্গ কিছুটা আড়ালে চলে গেলেও ফের সানডে টাইমসের রিপোর্টে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তারা দাবি করেছে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সংক্রামক রোগ বিভাগের এক বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েই এই রিপোর্ট সামনে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে করোনাভাইরাসের মতোই সংক্রামক ভাইরাল স্ট্রেন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছিল বায়োসেফটি লেভেল-৩ ল্যাবরেটরিতে। দক্ষিণপশ্চিম চীনের একটি পরিত্যক্ত খনিতে বাদুড়ের মলমূত্র, মৃত বাদুড়ের ছড়িয়ে ছটিয়ে থাকা দে’হ পরিষ্কার করতে গিয়ে ছ’জন খনি শ্রমিক অজানা সংক্রমণে আক্রান্ত হন। তাদেরও নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। ওই ছ’জনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয় সংক্রমণে। ওই খনি থেকেই পরে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয় উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে। সেখানে গবেষকরা করোনার মতোই ভাইরাল স্ট্রেনের খোঁজ পান ও সেই নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন।

তবে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, করোনার উৎস আসলে প্রকৃতি। এই ভাইরাস নতুন নয়। করোনাভাইরাসের পরিবারেরই সদস্য সার্স-কভ-২ যা সংক্রামক হয়ে ম’হামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে।

২০১৫ সালে রেডিও ফ্রি এশিয়ার একটি প্রতিবেদনে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ভয়ঙ্কর, প্রাণঘাতী সব ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা।

পরবর্তীকালে ইসরায়েলি সেনা গোয়েন্দা দফতরের প্রাক্তন প্রধান লেফটেন্যান্ট ড্যানি শোহাম বলেছিলেন, বায়ো ওয়ারফেয়ারের জন্য তৈরি হচ্ছে চীন। জিনের কারসাজিতে এমন ভাইরাস তৈরি করা হচ্ছে যার প্রভাব হবে সাঙ্ঘাতিক। প্রতিরোধের আগেই মহামারীর চেহারা নেবে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। যে দেশের উপর আ’ঘাত হানা হবে, সেখানে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়ে যাবে। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর থেকেই উহানে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে এই তথ্য মানতে রাজি ছিলেন না ইসরায়েলি মাইক্রোবায়োলজিস্টরা। তাদের দাবি, অনেক আগে থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।

ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস কলেজের আইনের অধ্যাপক ড. ফ্রান্সিস বয়েল বলেছিলেন, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিতে অতি গোপনে রাসায়নিক মা’রণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। সি-ফুড মার্কেটের ব্যাপারটা নেহাতই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা।

করোনাভাইরাস কীভাবে ছড়িয়েছে সেই নিয়ে আরও একটি বি’স্ফোরক দাবি করেছিলেন ‘অরিজিন অব দ্য ফোর্থ ওয়ার্ল্ড ওয়ার’-এর লেখক জে আর নিকিস্ট। তাঁর দাবি ছিল, কানাডার পি৪ ন্যাশনাল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবোরেটরি থেকে করোনাভাইরাসের স্যাম্পেল চু’রি করেছিলেন বায়োসেফটি ল্যাবের এক গবেষক। মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে যাতায়াত ছিল ওই গবেষকের। সেখান থেকেই ভাইরাসের নমুনা চু’রি করে উহানের ল্যাবোরেটরিতে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

ad

পাঠকের মতামত