330201

জেলে বসে পরিকল্পনা, বেরিয়ে শোরুমে ডা’কাতি

নিউজ ডেস্ক।। বিভিন্ন সময় চু’রি-ডা’কাতির মা’মলায় গ্রে’প্তার হয়ে জে’লে গিয়ে পরিচয় হয়। সেখানে বসেই বড় কোনো শোরুমে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। এরপর জে’ল থেকে বেরিয়ে রাজধানীর পান্থপথের ওয়ালটন শোরুমে ডা’কাতি করেন তারা।

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ। এর আগে পান্থপথের ওয়ালটন শোরুমের ডা’কাতি হওয়া মা’লামাল উদ্ধারসহ ৪ জনকে গ্রে’প্তার করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।

ডিসি হারুন-অর-রশিদ বলেন, গ্রে’প্তারকৃতরা আন্তঃবিভাগীয় ডা’কাতদলের সক্রিয় সদস্য। তারা জেল হা’জতে থাকাকালে একে অপরের সাথে পরিচয় হয়। এরপর এরা ডাকাতি ও দস্যুতাসহ বিভিন্ন অ’পরাধ সং’ঘটনের পরিকল্পনা করেন। গ্রে’প্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের কাছ থেকে ডা’কাতি হওয়া ১৮টি ওয়ালটন ফ্রিজ, ৩টি এলইডি টিভি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, ৭/১৫ পান্থপথ ওয়ালটন প্লাজার মালামাল কিশোরগঞ্জ জেলার ডিলারের কাছে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে নিজস্ব পরিবহনে তোলা হয়। পণ্যের চালান কপি ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন ও হেলপার মিরাজের কাছে হস্তান্তর করে শোরুম কর্মচারীরা চলে যান। এরপরপরই একটি খালি পিকআপে ৭-৮ জন এসে চাপাতির ভ’য় দেখিয়ে ওয়ালটন কোম্পানির গাড়ির ড্রাইভার হেল্পারদের গাড়িতে ওঠায় এবং বিভিন্ন জায়গায় মালামাল নামিয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওয়ালটন শোরুম টিম ম্যানেজার মো. রানা মিয়া পরদিন শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মা’মলা দায়ের করেন।

ডিসি হারুন বলেন, মা’মলার ঘটনার তেমন কোনো ক্লু না থাকায় ত’দন্ত দলের ত’দন্ত শুরু করতে হয় বড় পরিসরে। প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরার সহায়তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাইসহ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ১ জুলাই বসিলা এলাকা থেকে প্রথমে রবিউল ইসলামকে গ্রে’প্তার করে পুলিশ। রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৪ জুলাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার জাউচর এলাকা থেকে সুমন ও রানাকে গ্রে’প্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাথীকে গ্রে’প্তার করা হয়।

আরো জানা যায়, এ মা’মলার আরো চারজন অ’ভিযুক্ত মো. শাহজাহান, মেহেদী হাসান মৃধা ওরফে হাসান, মো. রনি ও আ. রহিম ময়মনসিংহ জেলার ডিবি পুলিশের হতে ভিন্ন একটি মা’মলায় গ্রে’প্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন।

গ্রে’প্তাররা ডা’কাত দলের সক্রিয় সদস্য। একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রি’মান্ড আবেদন করে আ’দালতে পাঠানো হবে বলেও জানান ডিসি হারুন। উৎস: বিডি-জার্নাল।

ad

পাঠকের মতামত