327831

করোনায় বাংলাদেশের পরি’স্থিতি দেখে হতা’শ চীনের বিশেষজ্ঞ দল

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সং’ক্র’মণের সার্বিক পরি’স্থিতি দেখে হতা’শ সফররত চীনের বিশেষজ্ঞ দল। তারা বলেছেন, করোনার মতো ছোঁয়াচে ভাইরাসের বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা খুবই কম। খুবই কম নমুনা পরীক্ষাও। তবে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা অনেক কম সত্ত্বেও তারা অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছেন।

রোববার (২১ জুন) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সঙ্গে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় চীনের বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। সফর শেষ করে আগামীকাল দেশে ফিরে যাবে বিশেষজ্ঞ দলটি। করোনার চিকিৎসায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলটি গত ৮ জুন ঢাকায় আসে।

ডা. লি ওয়েনশিউর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে চিকিৎসক, নার্সসহ সং’ক্রা’মক ব্যা’ধি নিরো’ধ বিশেষ’জ্ঞরা রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, করোনা ভাইরাসের বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা খুবই কম। চিকিৎসকসহ চিকিৎসাকর্মীর সংখ্যাও খুবই কম। তবু স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে তারা অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছেন।

করোনা আক্রা’ন্ত শনা’ক্তে নমুনা পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ জানিয়ে বিশে’ষজ্ঞ দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এখনো বাংলাদেশে করোনা টেস্টের পরিমাণ খুবই কম। দেশের সকল বিভাগে ল্যাবরেটরিও নেই। সেজন্য অনেককে তাদের টেস্টের জন্য ঢাকায় নমুনা পাঠাতে হয়।

বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষার ওপর জো’র দিয়ে বিশে’ষজ্ঞরা বলেন, দ্রুত পরীক্ষা, দ্রুত শনা’ক্তকরণ, দ্রুত আইসোলেশন এবং দ্রুত চিকিৎসা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সন্দে’হজনক কেস থেকে সর্বস্তরে টেস্ট নি’শ্চিত করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নি’শ্চিত করতে চীন লকডাউন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে সুফল পেয়েছে বলেও জানান বিশে’ষজ্ঞরা।

তারা বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিকর খাবারও দিতে হবে। সেভাবে তাদের শরীর গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ করোনা সং’ক্র’মণের পিক টাইম (চূড়ান্ত পর্যায়) পার করছে কি-না জানতে চাইলে বিশে’ষ’জ্ঞরা বলেন, আমাদের মনে হয় না পিক টাইম এখনো এসেছে। এটা বলা ক’ঠি’ন। এ ভাইরাস কতদিন থাকতে পারে সেটাই কেবল বিজ্ঞা’নীরা বলতে পারেন।

ad

পাঠকের মতামত