324935

লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা, প্রতিবাদে চলাচল বন্ধ

নিউজ ডেস্ক।। দুই মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে চালু হয়েছে নৌযান। কিন্তু প্রথম দিনেই পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে লঞ্চে যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত না করায় একটি লঞ্চকে জ’রিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে থাকা সুন্দরবন-৮ লঞ্চের সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে দুই মাসের কা’রাদণ্ডা’দেশ দেওয়া হয়। তবে জ’রিমানা করায় সেখানে থাকা লঞ্চগুলো ঢাকামুখী যাত্রা বন্ধ করে দেয়। এতে করে শত শত যাত্রী চ’রম দু’র্ভোগে পড়েছেন।

এর আগে, করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের দেওয়া নি’য়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে লঞ্চ চলাচল করার নির্দেশনা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, পটুয়াখালী থেকে তিনটি দ্বিতল লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার জন্য লঞ্চঘাটে নোঙর করেছিল। বিকেলের মধ্যে ডেকে যাত্রী ভরে যায়। তবে ছিল না কোনো শারীরিক দূরত্ব। সন্ধ্যা ৬টা থেকে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিকেলেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু হয়।

জ’রিমানা’র টাকা পরিশোধ না করায় সুপারভাইজার আনোয়ারকে থানায় নিয়ে গেলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ পটুয়াখালী লঞ্চঘাটের তিনটি লঞ্চই ঢাকা ছেড়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো পটুয়াখালী ঘাটে অবস্থান করছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সহকর্মীকে আটক করায় তারা লঞ্চ না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল ইসলাম বলেন, জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে আনোয়ারকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে সুন্দরবন-৮ লঞ্চ। এ কারণে লঞ্চের সুপারভাইজারকে জরিমানা করা হয়।

পটুয়াখালী নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে। লঞ্চগুলো যাতে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়, এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে রাত ৯টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লঞ্চগুলো ঘাটে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।

ad

পাঠকের মতামত