324867

‘সাইফুল আমাকে রাতে তার ঘরে নিয়ে আসে’

নিউজ ডেস্ক।। আ’পত্তি’কর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হু’ম’কি দিয়ে এক তরুণীকে রাতে বাসায় নিয়ে যাওয়ার অ’ভি’যোগ উঠেছে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (২৪) নামের এক তরুণের বি’রু’দ্ধে। আজ রোববার সকাল থেকে সেই তরুণকে বিয়ের দাবিতে অ’নশন করছেন ওই তরুণী।

সাইফুল ইসলাম কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ার আবদুল হাকিমের ছোট ছেলে। তিনি বমু পানিস্যাবিল নয়া বাজারে মুদি দোকান করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই তরুণীকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বমু পানিস্যাবিল নয়া বাজারে তার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে তুলে আনেন সাইফুল। তরুণীকে খুঁজে না পেয়ে রাত ২টায় মেম্বারকে বিষয়টি জানান তার মা। পরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রমিজ উদ্দিন ও কয়েকজন গ্রাম পুলিশসহ স’ন্দেহজনকভাবে সাইফুলের বাড়ি ত’ল্লাশি করলে তার কক্ষে ওই তরুণীকে পাওয়া যায়।

মেম্বার মো. রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমি সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যান ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আহাম্মদ মিয়াকে জানালে তারা বলেন, বিষয়টি সকালে সমাধান করা হবে। মেয়ে আপাতত ছেলের বাড়িতে থাকুক। এদিকে ভোর না হতেই ছেলের পরিবার মেয়েটিকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সাইফুলকে বাড়ি হতে অন্যত্র সরিয়ে দেয়।’

ঘর থেকে বের করে দিলে ও বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে আজ ভোর থেকে ছেলে বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন।

ওই তরুণী বলেন, ‘আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ১ বছর। এর আগেও সাইফুল আমাকে পাঁচ-ছয়বার রাতে তার ঘরে নিয়ে আসে। সে অসংখ্যবার আমার দেহ ভোগ করেছে। গতরাতে আমি আসতে না চাইলে সে আমার আ’পত্তিক’র ছবি ফেসবুক ছড়িয়ে দেওয়ার হু’মকি দেয়। তাই আমি আসতে বাধ্য হয়েছি। রাত সাড়ে ১১টায় মোটরসাইকেলে করে সে আমাকে নিয়ে আসে। ২টায় আমার পরিবারের লোকজন ও মেম্বার আমাকে খুঁজতে সাইফুলের বাড়িতে আসে। তারা সাইফুলের রুমে আমাকে পায়। সকালে সিদ্ধান্ত হবে বলে আমাকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দিয়ে আসে।’

তরুণী আরও বলেন, ‘তারা ভোরে সাইফুলকে সরিয়ে দিয়ে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমি এখন কোথায় যাবো? হয়তো সাইফুল আমাকে বিয়ে করবে না, আমার ম’রণ ছাড়া উপায় নাই। আমি এখন ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভোরে ছেলের পরিবারের লোকজন আমার মোবাইল, নাক-কানের স্বর্ণগুলো নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।’

বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব বলেন, ‘রাতে আমাকে বিষয়টি রমিজ মেম্বার অবহিত করে। সকালে সিদ্ধান্ত হবে বলেছিলাম। সকাল হতে আমি ত্রাণ বিতরণে ব্যস্ত থাকায় এখনো বৈঠকে বসতে পারিনি।’

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মেয়ে পক্ষ এখনো কোনো অ’ভিযো’গ করেনি। তারা অ’ভিযো’গ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হব।’

ad

পাঠকের মতামত