324907

করোনায় মৃ’তদের দাফন করানো সেই রফিকের মৃ’ত্যুও করোনায়

নিউজ ডেস্ক।। করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা যাওয়া ব্যক্তিদের কাফন-দাফন করাতেন রফিকুল ইসলাম (৪৫)। এমন মহৎ কাজের কারণে গোটা জেলায় তিনি প্রশংসায় ভেসেছিলেন।

সেই রফিক এবার করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে রোববার (৩১ মে) দুপুরে নিজ বাড়িতে জিকির করতে করতে মৃ’ত্যু’র কোলে ঢলে পড়েন। এছাড়া চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে আরো দুজন মা’রা গেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ বাজারে সাইমুম ট্রেইলার্সের মালিক রফিকুল ইসলাম। নানা সামাজিক কাজে এগিয়ে থাকার কারণে যাকে এলাকার সবাই রফিক ভাই নামে ডাকতেন। এ করোনা কালেও মৃ’তদের দাফন কাফনের জন্য ১১ জনের স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করেন তিনি। শনিবার হাজীগঞ্জ বাজারে ছেলে নিয়ে গিয়ে অনেকের সঙ্গে দেখা করেন রফিক। তখনই অনেকের কাছে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে দোয়া চান রফিক ইসলাম। রোববার দুপুরে নিজ বাড়ি হাজীগঞ্জ পৌরসভার বিলবাড়িয়াতে জিকির আসকার করতে করতেই মৃ’ত্যু’র কোলে ঢলে পড়েন তিনি। মৃ’ত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়ে রেখে গেছেন।

হাজীগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সিফাত জানান, ওই ১১ জনের স্বেচ্ছাসেবী দল গঠনে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তিনি নিজেও সহযোগিতা করেন। সিফাত বলেন, এ পর্যন্ত তাদের প্রিয় রফিক ভাই, জেলার বিভিন্নস্থানে করোনায় মা’রা যাওয়া ১০ জনের ম’র’দেহ দাফন করেছেন। সিফাত কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, প্রিয় মানুষটির মৃ’ত্যু’র সংবাদে তিনি নিজেও এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এদিকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোববার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুজন মা’রা গেছেন। এদের একজন হাজীগঞ্জে সাতবাড়িয়া গ্রামের এবং অন্যজন একই উপজেলার।

চাঁদপুরে করোনাবিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদৌলা রুবেল জানান, মৃ’তদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হবে।

অন্যদিকে চাঁদপুরে এ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনায় মা’রা গেছেন ১৫ জন। আর এখনো নমুনার রিপোর্ট আসেনি এমন করোনার উপসর্গ নিয়ে মা’রা গেছেন আরও ৯ জন। এছাড়া করোনা পজিটিভ রোগী আছেন প্রায় ২০০ জনের মতো।

চাঁদপুরে করোনায় এভাবে একের পর এক মৃ’ত্যুর মিছিল চলতে থাকায় সর্বত্র আ’তঙ্ক বিরাজ করছে। তারমেধ্যে লকডাউন ভে’ঙে সরকারি সিদ্ধান্তে মানুষজন সেই আগের মতো জীবনযাপন শুরু করেছেন। উৎস: সময়টিভি।

ad

পাঠকের মতামত