করাচি বিমান দু’র্ঘ’টনা : তিন তিনবার স’তর্কবা’র্তা দেওয়ার পরেও পাত্তা দেননি পাইলট!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিন তিনবার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার থেকে সতর্ক করা হয়েছিল পাইলটকে। বারবার বলা হয়েছিল উচ্চতার সঙ্গে বিমানের গতির সামঞ্জস্য রাখতে। কিন্তু সেসবে নাকি পাত্তাই দেননি পাইলট।
কথা না শুনে পাল্টা জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘সব ঠিক আছে। আমি সামলে নেব।’ আর পাইলটের এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণেই জীবন দিতে হয়েছে ৯৭ যাত্রীকে।
করাচি বিমানবন্দরে নামার আগেই আছড়ে ভেঙে পড়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ-৩২০। যাত্রী এবং ক্রু মেম্বার মিলিয়ে মোট ৯৯ জন ছিলেন বিমানে। মৃ’ত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। ভাগ্যের জোরে বেঁ’চে গিয়েছেন দু’জন। সোমবার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দেওয়া এক রিপোর্টে এমনটাই জানা গেছে।
গত শুক্রবার লাহোর থেকে করাচির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল পিকে-৮৩০৩ বিমানটি। করাচির জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই ঘটে দু’র্ঘট’না। বিমানবন্দর থেকে প্লেন যখন ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে তখন প্রথম ওয়ার্নিং বা স’তর্ক’বার্তা পাঠায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার বা এটিসি। ৭ হাজার ফুটের বদলে তখন প্লেন উড়ছিল ১০ হাজার ফুট উচ্চতায়।
দ্বিতীয়বার স’তর্কবা’র্তা আসে যখন বিমানবন্দর থেকে প্লেনের দূরত্ব ১০ নটিক্যাল মাইল। সেসময় ৩ হাজার ফুটের বদলে বিমান উড়ছিল ৭ হাজার ফুট উচ্চতায়। তবে পরপর দুটো স’তর্কবা’র্তার পরেও কোনো হেলদোল দেখাননি পাইলট। অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তেও এটিসি থেকে ওয়ার্নিং পাঠানো হয় পাইলটকে। জবাবে পাইলট জানান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি চিন্তিত নন বরং সব সামলে ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রস্তুত তিনি। এরপরেই ঘটে সেই ভ’য়া’বহ দু’র্ঘ’টনা।
করাচির বিমান দু’র্ঘ’টনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এরই মধ্যেই। সেই ত’দন্তের’ একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে বিমানে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওড়ার জন্য জ্বালানি ছিল। আর প্লেন উড়েছিল মাত্র দেড় ঘণ্টা। পাইলটের ভুল নাকি যান্ত্রিক গোলযোগ, ঠিক কী কারণে ওই বিমানটি ভে’ঙে পড়েছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে প্রথমবার অবতরণের সময়েই রানওয়েতে তিনবার ঘষা খায় বিমানের ইঞ্জিন। এর ফলে বিমানে জ্বালানি ট্যাঙ্কও ক্ষ’তিগ্র’স্ত হয় এবং তেল বেরোতে থাকে।
অনুমান এর পরেই আগুন ধরে যায় বিমানের কিছু অংশে। আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িও ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। করাচি বিমানবন্দরের কাছে মালিরের মডেল কলোনিতে ভে’ঙে পড়ে বিমানটি। আহত হন আশপাশের ১১ জন। উৎস- এনডিটিভি।