319883

কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রূপান্তরিত হল মসজিদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনা তা’ণ্ডব। এর প্রভাবে অনেক দেশ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশের মতো মহামারী করেনাভাইরাসের কারণে ভারতে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া বন্ধ। এই অবস্থায় করোনা প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছেন একটি মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে একটি মসজিদকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় সেন্টারটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। এ খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রূপান্তরিত মসজিদটির অবস্থান আজম ক্যাম্পাসে। মহারাষ্ট্র কসমোপলিটন অ্যান্ড এডুকেশনাল সোসাইটির পরিচালনায় ওই ক্যাম্পাসে ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর ২০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ক্যাম্পাসের মসজিদের দোতলায় বিশাল হলঘরে কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ৮০ জন সেখানে থাকতে পারবেন। মসজিদের নয় হাজার বর্গফুটের এই হল তারা ব্যবহার করতে চান করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে।

এ বিষয়ে মহারাষ্ট্র কসমোপলিটন অ্যান্ড এডুকেশনাল সোসাইটির চেয়ারম্যান পি এ ইনামদার বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আমরা এখানে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টারের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের ট্রাস্টি প্রয়োজনে রোগীদের খাবারের ব্যবস্থা করবে। আমরা রাজ্য সরকারকে যেটুকু পারি সাহায্য করতে চাই। মসজিদের ভিতরে ফ্যান, লাইট, টয়লেট, বেড সবই আছে। তাই করোনার রোগীদের সেখানে রাখতে কোনও অসুবিধা নেই।”

ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতে ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। তাবলিগের সম্মেলন থেকে করোনা ছড়ানোর পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের ঝড় তুলেছে একাংশ। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা করোনার বাজারেও সাম্প্রদায়িক প্রচার চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পুনের মসজিদ একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো, যা দেখে উৎসাহিত হতে পারে অন্য মন্দির, মসজিদ, গির্জাগুলো। উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাবলিগ সদস্যরা প্লাজমার জন্য রক্ত দিয়েও আলোচনায় এসেছেন।

ভারতে বেশ কিছু ধর্মীয় সংগঠন গরিবদের জন্য নিয়মিত খাবার দিচ্ছে, কিন্তু এভাবে ধর্মস্থান করোনা রোগীদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার উদাহরণ সম্ভবত এই প্রথম। মুসলিম কোঅপারেটিভ ব্যাংকের ডিরেক্টর এস এম ইকবাল অবশ্য বলেছেন, ”এটা নিঃসন্দেহে ভালো প্রয়াস। ওই চত্বরে একটি ইউনানি হাসপাতালও আছে, সেখানেও করোনা রোগীদের রাখা যেতে পারে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা আছে।”

ad

পাঠকের মতামত