320064

কারফিউ শিথিলে জমে উঠছে সৌদি আরবের শপিংমল, আছে কিছু বিধি-নিষেধও

ডেস্ক রিপোর্ট।। কারফিউ শিথিলের পর বিভিন্ন শপিংমল ও খোলা বাজারে ফিরতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। রিয়াদের কেন্দ্রস্থলের বিলাসবহুল বিপণিবিতানগুলোতে বিধিনিষেধ ওঠার প্রথম দিনে স্বল্প সংখ্যক ক্রেতার উপস্থিতি দেখা গেছে।

মাকের্টে আসা ক্রেতাদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে। স্যানিটাইজারের কড়া গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে গৃহসজ্জা, আসবাবপত্র, কসমেটিকস ও পোশাকের দোকানগুলোতে।

মক্কা ও এর আশেপাশের এলাকা ছাড়া সৌদি আরবের সব অংশে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলের ঘোষণা দেওয়া হয় গত রোববার। বিশেষত, কারফিউ শিথিলের এ সিদ্ধান্ত হয় রমজান মাস শুরু হওয়ায়।

শপিং মল ও বিভিন্ন দোকানপাট খুললেও স্কুল, রেস্তোরাঁ, মসজিদ ও অন্যান্য যেসব স্থানে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মানা কষ্টকর, সেগুলো আগের মতোই বন্ধ থাকছে। পাঁচ জনের বেশি জমায়েতেও আছে নিষেধাজ্ঞা।

সৌদি আরবের মোট জনসংখ্যা তিন কোটির মতো। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশেরই বয়স ৩০ এর নিচে। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর বুধবার মলগুলোতে আসা ক্রেতাদের অধিকাংশই ছিল তরুণী।

“তারা সতর্কতামূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। সেখানে গ্লাভস ও মাস্ক আছে। মানুষজন যেন একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখে তা নিশ্চিত করতে চাইছে তারা,” বলেন হায়াত মলের আরেক ক্রেতা।

কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বানের পাশাপাশি শিশু, বৃদ্ধ ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের বাসায় থাকতে নির্দেশনাও দিয়েছে।

রিয়াদের দক্ষিণাঞ্চলের বাথা এলাকার বিভিন্ন দোকান ও কাঁচাবাজারগুলোতে ব্যাপক ভিড় এবং স্বল্পসংখ্যক মানুষের মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস দেখা গেছে। সৌদি আরবে কাজ করতে যাওয়া নিম্নআয়ের বিদেশি শ্রমিকদের অনেকেই এ এলাকাটিতে থাকেন এবং কাজ করেন। উৎস: বিডিনিউজ

ad

পাঠকের মতামত