319936

‘করোনায় ঝুঁকির মুখে ১৬০ কোটি মানুষের জীবিকা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। বৈশ্বিক মহামারি করোনায় স্তব্ধ পুরো বিশ্ব। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলছেন, এতে বড় সঙ্কটের মুখে পড়তে যাচ্ছে চাকরির বাজার। এবারও একই খবর জানিয়ে সতর্ক করল আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন আইএলও।

বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেআইএলও বলছে, কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় বিশ্বে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ১৬০ কোটি শ্রমিকের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, এই কর্মীর সংখ্যা বিশ্বের মোট শ্রমশক্তির প্রায় অর্ধেক।

‘আইএলও মনিটর থার্ড এডিশন: কভিড-১৯ অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক’ শিরোনামে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে (এপ্রিল থেকে) যে হারে কর্মঘণ্টা কমে যাচ্ছে তা আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি আশঙ্কাজনক।

শ্রমিক সংগঠনটি বলছে, ২০১৯ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) যখন এ সঙ্কটের শুরু হয়নি, সেই সময়ের তুলনায় এখন বিশ্বজুড়ে শ্রমিকের কর্মঘণ্টা ১০ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে, যা প্রায় ৩০ কোটি পূর্ণকালীন চাকরির সমান (একটি ফুলটাইম চাকরিতে সপ্তাহে ৪৮ কর্মঘণ্টা)।

এই সঙ্কটে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকের কর্মঘণ্টা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কমতে পারে, যা প্রায় ১৯ কোটি পূর্ণকালীন চাকরির সমান। কিন্তু দেশে দেশে লকডাউন দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে ক্ষতি হচ্ছে ধারণার চেয়ে অনেক বেশি।

বিভিন্ন অঞ্চলভেদে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে জানিয়ে আইএলও প্রতিবেদনে বলছে, ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই আমেরিকায় কর্মঘণ্টা হিসেবে শ্রমিকের কাজের সুযোগ সঙ্কট শুরুর আগের সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যেতে পারে। একইভাবে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় ১১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে সাড়ে ৯ শতাংশ কমতে পারে।

চলতি বছরের শুরুতে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর শ্রমবাজারের ওপর এর প্রভাব নিয়ে গত মার্চে সমীক্ষা শুরু করে আইএলও। এপ্রিলের শেষে এসে তৃতীয় প্রতিবেদনটি তারা প্রকাশ করেছে, যেখানে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত