319677

বানরের শরীরে এবার প্রয়োগ হলো করোনার ভ্যাকসিন

ডেস্ক রিপোর্ট।। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। গত সপ্তাহে মানব শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক বিশেষজ্ঞ তার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছেন বানরের শরীরে।

বিশেষজ্ঞদের মতে বানরে শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটি আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের মধ্যে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

অক্সফোর্ড বিশব্বিদ্যালয়ের আর এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ভিনসেন্ট মুস্টার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি একই সাথে রকি মাউন্টেন ল্যাবরেটরির জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একজন গবেষক। ডা. মুস্টার তার ভ্যাকসিনের একটি ডোজ ছয়টি বানরের শরীরে প্রয়োগ করে। রেসাস মেকাউ গোত্রের ওই ছয়টি বানরের শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিনটি দেয়া হয়েছে।

দ্যা নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্ট হতে জানা যায়, ভ্যাকসিন প্রয়োগের আগে ওই বানরগুলোকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত করা হয়। সংক্রমণের চার সপ্তাহ পরেও বানর ছয়টি সুস্থ রয়েছে।

যার অর্থ ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও করোনা মোকাবেলায় এর কার্যকারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মাসের শেষের দিকে বিশেষজ্ঞের ওই দলটি ছয় হাজারের বেশি ভলেন্টিয়ারের উপর পরীক্ষা শুরু করবে।

ডাক্তার ভিনসেন্ট মুস্টার বলেন, এই বানরের প্রজাতি মানুষের কাছাকাছি হওয়ায় আমরা আশা করছি ভালো কিছু হবে।

তিনি আরো জানান, মানব দেহে ভ্যাকসিনটি কাজ করবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা না থাকলেও তিনি তার গবেষণাকে পিয়ার রিভিউ জার্নালে জমা দেয়ার পরিকল্পনা করছেন।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই ভ্যাকসিনটিই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাবে ও আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিলিয়ন ডোজ বাজারে পাওয়া যাবে বলে দাবি করছে বিশেষজ্ঞরা।

বায়োটেক ও গবেষণা দলের অধীনে সারাবিশ্বে প্রায় ১০০ জন সম্ভাব্য কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে ভ্যাকসিনের কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্যে কমপক্ষে পাঁচটি দল প্রথম পর্যায়ে রয়েছে যারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হিসেবে পরিচিত।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে অক্সফোর্ডে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনে নিয়ে ইউরোপে প্রথম মানব শরীরে প্রয়োগ করা হয়। ইলিসা গ্রেনাটো নামে ভ্যাকসিন নেয়া ওই স্বেচ্ছাসেবী নিজেও এই গবেষণায় নিযুক্ত রয়েছেন। উৎস : মিরর

ad

পাঠকের মতামত