
করোনার ঝুঁ’কি নিয়ে চাকরি বাঁচাতে ঢাকার পথে গার্মেন্টস শ্রমিকরা
নিউজ ডেস্ক।। করোনা ভাইরাসের ঝুঁ’কি নিয়ে জীবিকার তাগিতে পাঁয়ে হেটে পিকআপ ভ্যান ও ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। বসে নেই বেসরকারি চাকরজীবিরাও। এ অবস্থায় করোনা আঙ্কত থাকলেও বাধ্য হয়েই কর্মস্থলে ফিরছে হাজার হাজার নারী-পুরুষ। শ্রমিকদের কথা একটাই করোনার ঝুঁ’কি থাকলেও জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে পৌঁছাতেই হবে। তা না হলে চাকরিটা থাকবে না। শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর নতুন বাইপাস এলাকায় শত শত গার্মেন্টস শ্রমিকদের উপছেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
ঢাকার পথে রওনা দেয়া এক গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, ফ্যাক্টরী থেকে ফোন দিয়ে বলছে কাল (রোববার) কাজে যোগ না দিতে পারলে এই মাসের বেতন কাটা যাবে। তাই যেভাবে পারি ঢাকা আমার যেতেই হবে। টাঙ্গাইলের গোপালপুর থেকে এই পর্যন্ত মির্জাপুর আসতে প্রায় ৩শ টাকা গাড়িতে লাগছে। সময়ও লেগেছে প্রায় ৪ ঘন্টা। এখন ঢাকা যাইতে পারলেই প্রাণে বাঁচি।
এভাবেই ১ ঘন্টার রাস্তা ৪ ঘন্টায় আর পরিবহন খরচ ৫০ টাকার জায়গায় ৫ শত টাকা লাগছে তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার পথে ছুটে চলেছেন হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক। এর মধ্যে মহাসড়কের চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহন অধিক ভাড়া আদায় করছেন। কিন্তু শ্রমিকদের উপায় নেই। যেতেই হবে গন্তব্যস্থলে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে বিজিএমইএর সভাপতি তার সদস্যদের পোশাক শ্রমিক কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এছাড়া মালিকদের প্রতি গ্রাম থেকে শ্রমিকদের ঢাকায় না আনারও অনুরোধ জানানো হয় ওই বার্তায়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনর্চাজ মো. সায়েদুর রহমান জানান, মহাসড়ক দিয়ে দলে দলে গার্মেন্টস শ্রমিক যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানতো বন্ধ। তাহলে তারা কি কারণে যাচ্ছে সেটিও তার বোধগম্য নয় বলে তিনি জানান।