318676

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯০ ও যুক্তরাজ্যে প্রায় ১৫০ বাংলাদেশির মৃ’ত্যু

ডোস্ক রিপোর্ট।। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আরো ৩ বাংলাদেশির মৃ’ত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে মোট ১৯০ বাংলাদেশির মৃ’ত্যু হলো। তাদের অধিকাংশই নিউইয়র্কের। এরপরই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি মারা গেছেন যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে মা’রা গেছেন প্রায় ১৫০ বাংলাদেশি। ডিবিসি টিভি

তবে করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে আ’ক্রা’ন্ত ১০ হাজারের প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশি।এদিকে, কাতারে ৫ শতাধিক বাংলাদেশি করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩ জন। স্পেনে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন। মা’রা গেছেন ৩ জন। এছাড়া, পর্তুগালে ২২ প্রবাসী বাংলাদেশি আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন, যাদের ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

বৃহস্পতিবার প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের কূটনীতিকদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৯টি দেশে অন্তত ৮৬ জন বাংলাদেশি মা’রা গেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মা’রা যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকাংশই ওই দুই দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। প্রথম আলো

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি সেখানকার গণমাধ্যমে চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকারের দেওয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানান, টেস্টিং কিটের অভাবে আ’ক্রা’ন্ত ব্যক্তিরা বাড়িতে বসে সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। করোনাভাইরাসে আ’ক্রা’ন্ত অসংখ্য লোক টেস্ট করাতে না পেরে দিনের পর দিন বাড়িতে বসে থেকেছেন। এর ফলে সং’ক্রম’ণ পুরো কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়েছে।

এলমহার্স্ট হাসপাতালে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ফেরদৌস খন্দকার বলেন, সেখানে এখন যত রোগী ভর্তি আছে, তার ৯৫ শতাংশই হচ্ছে করোনাভাইরাসে আ’ক্রা’ন্ত। প্রচুর রোগী মা’রা যাচ্ছে সেখানে। হাসপাতালটির চারপাশে প্রায় ১০ মাইল ব্যাসার্ধের এলাকার অধিকাংশই অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। বেশির ভাগ অভিবাসী সম্প্রদায়ের। তাদের জীবনযাপন বা চলাফেরা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত কয়েক শ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ২০০, ইতালিতে ৪০, স্পেনে ২৩, কানাডা ও ফ্রান্সে ২০ জন করে ও জার্মানিতে ১০ জন।

ad

পাঠকের মতামত