318624

তিনটি কৌশল অবলম্বন করেই করোনায় মৃ’ত্যু শূন্য রাখতে পেরেছে ভিয়েতনাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উন্নয়নশীল দেশ ভিয়েতনামের বিশাল সীমা’ন্তজু’ড়ে রয়েছে চীন। করোনার জন্মভূমি সেই চীন হলেও প্রায় দশ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে অনেকটাই নিরা’পদে রয়েছে ভিয়েতনাম। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২৬৮ জন করোনায় আক্র’ন্ত হলেও কোনো মৃ’ত্যু নেই। এমনকি ইতিমধ্যে ১৪০ জন পু’রোপু’রি সুস্থও হয়ে উঠেছেন। করোনায় বিশ্বজু’ড়ে মৃ’ত্যুর সংখ্যা যখন লা’ফিয়ে লা’ফিয়ে বা’ড়ছে, উন্নত দেশের হাসপাতলগুলো রোগী সা’মলাতে হি’মশি’ম খাচ্ছে। তখন ভিয়েতনাম কিভাবে কোন মৃ’ত্যু ছাড়াই এখনও সফল? এর কারণ খুঁ’জতে গিয়ে বিশ্লেষকরা পেয়েছেন তিনটি গুরুত্বপূর্ন কৌশল।

কি সেই কৌশল? জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে দেহের তাপমাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে স্ক্রি’নিং বা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে এ পরীক্ষা থেকে কাউকে বা’দ দেয়া হয়নি। একইসঙ্গে তাদের কয়েকমাসের স্বাস্থ্যগত ত’থ্যও যা’চাই করা হতো। কেউ মিথ্যা ত’থ্য দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরু’দ্ধে আইনগত ব্যবস্থা। আর তাপমাত্রা বেশি হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পা’ঠিয়ে দেয়া হতো। এছাড়া তার করণীয় কি তা ঠিক করে দিতেন চিকিৎসকরা।

বর্তমানে দেশটির কোন বড় শহর বা প্রদেশ, একইসঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান ভবনে ঢু’কতে হলে স্ক্রি’নিং ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সে’রেই ঢু’কতে হয়। সব শহরেই করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সবাইকে বা’ধ্যতামুলক এ পরীক্ষা করতে হচ্ছে। কারো করোনা ধ’রা পড়লে ওই এলাকা পু’রোটাই লকডাউন করে দেয়া হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি থেকেই ভিয়েতনামে কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন মে’নে চলা হচ্ছে। দেশটিতে গত ৫ মার্চ থেকে নিজেদের উদ্ভাবিত তিন ধরণের করোনার কি’ট পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো জনসাধারণ যে কোনে স্থান থেকে ২৫ ডলারে কিনে নিয়ে নিজেরাই পরীক্ষা করতে পারে। এতে ফলাফল পাওয়া যায় মাত্র ৯০ মিনিটে। এর ফলে দেশটিতে ব্যাপ’কভাবে করোনা পরীক্ষা সম্ভব হয় এবং সরকারও সে হিসেবে ব্যবস্থা নিতে পেরেছে।

সফলতার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় ভূমিকা রেখেছে জনগণের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ। জানুয়ারি থেকেই ভিয়েতনাম সরকার জনগণের মাঝে করোনা নিয়ে প্রচারণা শুরু করে। জানিয়ে দেয়া হয়, কিভাবে সচেতন থাকতে হবে, করোনা হলে কি করতে হবে, এবং কিভাবে মো’কাবেলা করতে হবে। সেই সঙ্গে কিভাবে একে অন্যের ক্ষতি না করে থাকা যায় সেটিও জনগণকে নিশ্চি’ত করতে বলা হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রাদেশিক গভর্ণররাও মোবাইল ফোন ও প্রযুক্তির বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে এ প্রচারণা চা’লিয়ে যাচ্ছেন।

কারো করোনা ধ’রা পড়লে তা প্রচার করে দেয়া হচ্ছে, যাতে অন্যরা সচেতন হতে পারে। একইসঙ্গে কেউ ত’থ্য গো’পন করলে বা আইন লং’ঘন করলে তার বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দেশটির হাসপাতালগুলোতেও করোনা চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। কোন রোগী আসলে তার চিকিৎসায় ত’রিত ব্যবস্থা নেয়া হয়। মোটা দা’গে তিনটি কৌশল অবলম্বন করেই করোনায় মৃত্যু শূন্য রাখতে পেরেছে দেশটি।

ad

পাঠকের মতামত