316288

নারায়ণগঞ্জ করোনা প্রতিরোধ কমিটির শীর্ষ কর্তারা কোয়ারেন্টাইনে

নিউজ ডেস্ক।। করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির শীর্ষ কর্তাদের বেশিরভাগই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিমউদ্দিনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম ও সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজও। এছাড়া ঘরে আইসোলেশনে রয়েছেন জেলা করোনা বিষয়ক জেলা ফোকাল পারসন ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক মো. জসিমউদ্দিন কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন কি-না সেজন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে বুধবার ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে বুধবার থেকে তিনি তার বাংলোয় বিশ্রামে চলে যান। বাংলো থেকেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বুধবার দুপুরে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায়।

এদিকে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজও বুধবার থেকে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এ ছাড়া জেলা করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম করোনা সন্দেহে বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয় জানতে চাইলে এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ‘আমি সুস্থ আছি। আমি কোয়ারেন্টাইনে নেই। তবে ডিসি ও সিভিল সার্জন একটু অসুস্থ। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের করোনা সন্দেহ হওয়ায় যেহেতু তার সংস্পর্শে ছিলাম, তাই বাড়িতেই অফিস করছি।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা দেশ রূপান্তরকে বলেন, জেলা প্রশাসক বাড়িতেই আছেন, সুস্থ আছেন। কাশিসহ অসুস্থ্ বোধ করায় ভাবির পরামর্শে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাসায় থেকেই তিনি জেলার সকল কার্যক্রম তদারকি করছেন।

এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

এ ব্যাপারে জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমি আইসোলেশনে আছি। শরীর ভালো নেই। অসুস্থ্ হয়ে বাড়িতেই আছি। ফোনেই কার্যক্রম চালাচ্ছি।

উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জে এ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। এছাড়া জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন ১০ জনেরও বেশি। তাদের অনেকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৬। উৎস: দেশ রুপান্তর।

ad

পাঠকের মতামত