315468

খালেদা জিয়াকে বলছি, দয়া করে কথা বলুন : জয়নাল হাজারী

জয়নাল হাজারী ॥ দেশ ও জাতি যখন এক মহাক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে সেই সময়ও জাতীয় নেত্রী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী জেল থেকে ছাড়া পেয়েও এ পর্যন্ত একটি কথাও বলেননি। তিনি অসুস্থ সন্দেহ নাই কিন্তু কথা তো বলতে পারেন। জাতিকে দিক নির্দেশনা দেয়া নিশ্চিয়ই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য। রাজনৈতিকভাবে দেশে অনেক ভেদাভেদ ও মন কষাকষি হয়েছে। এই হতেই পারে যুগে যুগে দেশে দেশে এটা হয়েছে। আবার সমঝোতাও হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সব কিছু ভুলে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। সেই কারনেই আমরা স্বাধীনতাও অর্জন করেছিলাম। আজও যখন করোনা আমাদের অস্তিত্বের উপর আঘাত হেনেছে এই আঘাতকে নিশ্চয়ই ঐক্যবদ্ধভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। দেশের যদি অস্তিত্বই না থাকে তবে আপনি বা আপনার দল দেশের শাসনভার গ্রহণ করবেন কিভাবে। আপনার মনে ক্ষোভ ও দুঃখ আছে।

সেটি সহজেই অনুমেও। জাতিকে দিক নির্দেশনা দেয়ার সময় প্রয়োজনে হালকাভাবে আপনার উপর যদি কোন অন্যায় হয়ে থাকে সেটাও বলুন তবে মূল কথা আপনাকে করেনার বিরুদ্ধে দিকনির্দেশনা দিতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তো আপনাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। দুঃখ তো শেখ হাসিনার মনেও অনেক জমা ছিল। তিনি তো সব ভুলে গেলেন। ২১শে আগস্ট আপনার সরকারের আমলেই শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গিয়ে ২৪জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হলো। এই সংকটকালে শেখ হাসিনা তো সেই ইতিহাস ভুলে গিয়ে ভেদাভেদ দূর করতে আপনাকে মুক্তি দিয়েছে। সুতরাং আপনার উপরও যদি কিছু অবিচার হয়ে থাকে বর্তমান সময়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনাকেও সব কিছু ভুলে যেতে হবে। নতুবা সকলের জন্যই ভবিষ্যতে ঘোর অমানিষা অপেক্ষা করছে। তারেক জিয়ার কথা শুনে কেউ স্বস্তিবোধ করবে না। কথা আপনাকেই বলতে হবে। ইতিমধ্যে আপনার জোটের আ.স.ম আবদুর রব ও অলি আহমদ ঐক্যের ডাক দিয়েছে। তবে এখনও কামাল হোসেন ও বদরুদ্দেজা চৌধুরীরা কোন ভূমিকা রাখছেন না তা আমার মত ুদ্রব্যক্তির পক্ষে অনুধাবন করা খানিকটা কঠিন।

কথা বলার জন্য আপনাকে কারো মুখোমুখি হতে হবে না। বরং তথ্যপ্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার দিনে আপনি ফেসবুক লাইভেও যেতে পারেন। এমনকি আপনার একটি স্বকণ্ঠের অডিও বার্তাও জনগনের কাছে পৌঁছে দেয়া খুবই সহজ কাজ। সরকার আপনাকে মুক্তি দিয়েছে এই সিদ্ধান্তকে আমি সঙ্গে সঙ্গে স্বগত জানিয়েছি। জাতীয় ঐকের স্বার্থেই আপনাকে এই যুদ্ধে শামিল হতে হবে। নইলে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকানা হারিয়ে ফেলবেন। তাই একজন মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ এই যুদ্ধেও জাতির করনীয় কি তা আপনাকে বলতেই হবে। আপনার দলীয় লোকজনকে এখনই এই যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ প্রধান করুন। আপনি চুপ থাকলে জাতির কাছে ভুলবার্তা পৌঁছাবে। এতে করে আপনি ও আপনার দল বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই বার বার বলছি, কথা বলুন, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করুন। কোয়ারেন্টিন থেকেও কথা বলা যায়। উৎস: হাজারিকা প্রতিদিন।

ad

পাঠকের মতামত